গাজীপুরে সমকামীতার জেরে পোশাককর্মী আশেকুল হক ওরফে শরীফকে হত্যা করেছিল তার বন্ধুররা। হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর ২ বন্ধুকে গাইবান্ধা থেকে এবং সোমবার ভোরে অপর বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃত ৩ জনই আদালতে দায় স্বীকার করে জাবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআই এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরগুনার বামনা থানার ভোলাঘাট এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম রাজু ওরফে বাবু (২৩), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ফকিরপাড়া (উত্তরপাড়া) এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মুমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন (২৭) এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে আ. মান্নান (২৬)।
পিবিআই জানায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী সাতপোয়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আশেকুল হক ওরফে শরীফ সারদাগঞ্জ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে একা ভাড়া থেকে পোশাক করখানায় চাকুরী করতেন। গত ২১ জুলাই রাতে হত্যা করা হয় তাকে। খবর পেয়ে রাতেই কাশিমপুর থানা পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে হাত, পা, মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন নিহতের ভাই আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। হত্যারে ঘটনায় গাজীপুর পিবিআই ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার গাজীপুর পিবিআইকে দেয়া হয়।
তদন্তকালে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগীতায় ওই মামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত তৌহিদুল ইসলাম রাজু ওরফে বাবু (২৩), মুমিনুল ইসলাম ওরফে মমিনকে (২৭) গত ২৫ জুলাই সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার কানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে শরীফ লুন্ঠিত মোবাইল সেট, এলইডি টিভি, হাত ঘড়িসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃরা তাদের অপর সহযোগী আব্দুল মান্নানের নাম প্রকাশ করে। সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে সারদাগঞ্জ এলাকা থেকে আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, নিহত আশেকুল হক ওরফে শরীফ ও ওই তিন হত্যাকারী সবাই পরস্পর বন্ধু এবং সমকামিতায় আসক্ত। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শরীফের কাছে ছিল। ওই ভিডিও নেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা সেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানান পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
No comments:
Post a Comment