Paris, France; June 3, 2025: JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF) strongly condemns the arrest of two prominent senior lawyers from the District Bar Associations of Jhenaidah and Kurigram—Advocate Bikash Kumar Ghosh and Advocate Amjad Hossain. The arrests are widely viewed as repressive, politically motivated, and acts of vengeance, carried out solely because the lawyers were performing their professional duties and exercising their right to freedom of political expression.
JMBF observes with grave concern that, in recent times, a disturbing trend has emerged in Bangladesh wherein renowned lawyers are being increasingly subjected to state repression and harassment through politically driven cases, merely for carrying out their professional responsibilities and holding differing political views. The latest victims of this practice are Advocate Bikash Kumar Ghosh, former Government Pleader (GP) of Jhenaidah, and Advocate Amjad Hossain, former General Secretary of the Kurigram District Bar Association.
JMBF firmly believes that in line with the United Nations Basic Principles on the Role of Lawyers, lawyers have the right to perform their duties independently and without harassment or intimidation. The Government of Bangladesh must uphold this international commitment.
According to JMBF’s reliable internal sources and reports published in various newspapers, former GP Bikash Kumar Ghosh was detained by immigration police at the Darshana Joynagar checkpoint upon returning from India after his wife's medical treatment on May 31, 2025. He was later shown as arrested in a politically motivated case and sent to jail. Meanwhile, senior lawyer Advocate Amjad Hossain was arrested from his home on April 23, 2025, by Detective Branch (DB) police and presented to the court as a suspect under the Special Powers Act, even though he was not named in the First Information Report (FIR).
Renowned French human rights activist and JMBF Chief Advisor Robert Simon stated: “In a democratic state, the arrest and intimidation of lawyers is not only a violation of individual freedom but also a serious threat to the credibility of the justice system and the fundamental rights of citizens. Our protest against this form of political repression in Bangladesh will continue. We demand the immediate and unconditional release of these two lawyers.”
Bangladeshi human rights lawyer and JMBF founder Advocate Shahanur Islam said: “The government’s repressive tactics targeting lawyers pose a direct threat to the people seeking justice. If lawyers are intimidated in this way, the independence of the judiciary will be dismantled. A country where lawyers are not safe is a country where the right to fair justice for its citizens is also questionable. Today if lawyers are silenced, tomorrow the entire society will be muted.”
JMBF calls upon the government with the following urgent demands to ensure justice, protect human rights, and uphold the professional independence of lawyers:
- Immediate and Unconditional Release of Advocate Bikash Kumar Ghosh and Advocate Amjad Hossain: The actions taken against these esteemed lawyers are not only political harassment but also a direct attack on the independence of the judiciary and the professional dignity of legal practitioners. We demand their immediate release.
- Withdraw the False and Politically Motivated Cases Against Them: These cases were filed without impartial investigation, representing a misuse of legal authority. The cases must be withdrawn, and the rule of law must be upheld.
- Take Effective Measures to Ensure Professional Independence and Security of Lawyers in Bangladesh: The ongoing intimidation of lawyers must stop, and their ability to work independently and safely must be guaranteed.
JMBF also calls upon international human rights organizations and global civil society to unite their voices against this wave of repression. JMBF believes that these incidents are not isolated but part of a long-term suppressive policy, and in a society where lawyers are not safe, justice and democracy are fundamentally at risk.
JMBF expresses its solidarity with the arrested lawyers and pledges to closely monitor ongoing human rights violations against them.
Thank you,
Advocate Mohammad Alamgir
Secretary-General
JusticeMakers Bangladesh in France (JMFB)
Email: mohammad.alamgir@jmbf.org
Website: www.jmbf.org
Fact in Brief (Based on JMBF’s reliable sources and published news reports):
Incident No. 1: Arrest of Former Government Pleader Advocate Bikash Kumar Ghosh on Charges of Vandalism and Looting
On May 31, 2025, senior lawyer and former Government Pleader of Jhenaidah, Advocate Bikash Kumar Ghosh, was arrested in connection with allegations of vandalism and looting at the business premises of Akhtaruzzaman, Senior Vice-President of Jhenaidah District BNP. Immigration police detained him at the Darshana Joynagar checkpoint upon his return from India.
He had traveled to India on May 13 with his wife, Rupa Rahut (48), for her medical treatment, accompanied by their 14-year-old daughter. After 17 days of treatment, they were returning home when he was detained.
Following his arrest, he was handed over to Jhenaidah police, who then showed him as arrested in a case filed by Akhtaruzzaman on August 29, 2024, concerning an incident from August 4 during a student-public movement. The case alleged that Awami League activists vandalized and looted “Akhtar Pharmacy,” including bomb blasts, destruction of property such as a fridge, AC, and computer, and theft of 150,000 BDT in cash. The attackers allegedly beat store employees and looted medicine and furniture. Advocate Ghosh was one of 31 accused in the case.
Incident No. 2: Arrest of Senior Lawyer Advocate Amjad Hossain under the Special Powers Act
On April 23, 2025, the Detective Branch (DB) police arrested Advocate Amjad Hossain, former General Secretary of the Kurigram District Bar Association, from his residence. He was later shown arrested in a case filed under the Special Powers Act in February 2025. Importantly, he was not named in the FIR; he was arrested as a suspected individual.
বাংলাদেশঃ জেএমবিএফ ঝিনাইদহ ও কুড়িগ্রামে দুইজন সিনিয়র আইনজীবী গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।

জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশিষ্ট আইনজীবীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমননীতি ও হয়রানিমূলক মামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। যার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষ এবং কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন।
জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের ‘Basic Principles on the Role of Lawyers’ অনুসারে, আইনজীবীরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বাধীন এবং হয়রানি ও হুমকি থেকে মুক্ত থাকার অধিকার রাখেন। বাংলাদেশের সরকারকে এই আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।
জেএমবিএফ-এর নিজস্ব নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যায়, ঝিনাইদহের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষকে ৩১ মে ২০২৫ তারিখে ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবার সময় দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁর নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করে, যদিও তিনি মামলায় এজাহারভুক্ত ছিলেন না।
প্রখ্যাত ফরাসি মানবাধিকার কর্মী ও জেএমবিএফ-এর প্রধান উপদেষ্টা রবার্ট সাইমন বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনজীবীদের গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন শুধু ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন নয়, বরং গোটা বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার হুমকির মুখে ফেলে। বাংলাদেশে এই ধরণের রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। আমরা এই দুই আইনজীবীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”
বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী ও জেএমবিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম বলেন, “আইনজীবীদের টার্গেট করে যে দমনমূলক কৌশল সরকার গ্রহণ করেছে, তা বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য সরাসরি হুমকি। এভাবে আইনজীবীদের ভয়ভীতি দেখানো হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হবে। যে দেশে আইনজীবীরা নিরাপদ নন, সে দেশে নাগরিকের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। আজ যদি আইনজীবীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়, কাল গোটা সমাজকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।”
জেএমবিএফ ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের সুরক্ষা ও আইনজীবীদের পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি নিম্নোক্ত জোরালো দাবি জানাচ্ছে:
১. অ্যাডভোকেট বিকাশ কুমার ঘোষ ও অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন-এর অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দিনঃ এই দুইজন প্রখ্যাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানি নয়, বরং দেশের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও পেশাগত মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দাবি করছি।
২. তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করুনঃ এই মামলাগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই দায়ের করা হয়েছে, যা আইনের অপব্যবহার। এসব মামলা প্রত্যাহার করে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. বাংলাদেশে আইনজীবীদের পেশাগত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুনঃ আইনজীবীদের প্রতি অব্যাহত ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
জেএমবিএফ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও গ্লোবাল সিভিল সোসাইটিকে এই দমননীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানাচ্ছে। কারণ, জেএমবিএফ মনে করে, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি দমনমূলক নীতির অংশ এবং যেখানে আইনজীবীরা নিরাপদ নন, সেখানে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) গ্রেফতার আইনজীবীদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে এবং তাদের প্রতি সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের চলমান ঘটনাবলী নিয়মিত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
ধন্যবাদান্তে–
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর
মহাসচিব
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)
ইমেইল: mohammad.alamgir@jmbf.org
ওয়েবসাইট: www.jmbf.org
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা (জেএমবিএফ-এর নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী):
ঘটনা নং-০১ঃ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ঝিনাইদহের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিকাশ কুমার ঘোষ গ্রেপ্তার
গত ৩১ মে ২০২৫ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আকতারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ঝিনাইদহের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (जिपि) ও ज্যেষ্ঠ আইনজীবӣ বিকাশ কुमার ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শना জয়নগর চেকপোস্টের মাধ্যমে দেশে প্রবেশকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
গত ১৩ মে বিকাশ কুমার ঘোষ তাঁর স্ত্রী রূপা রাহুত (৪৮)–এর চিকিৎসার জন্য দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট হয়ে ভারতে যান। এ সময় তাঁদের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সঙ্গে ছিলেন। চিকিৎসার কারণে ১৭ দিন ভারতে অবস্থান শেষে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন।
পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত বিকাশ কুমার ঘোষকে ঝিনাইদহ থানা পুলিশে হস্তান্তর করলে, ঝিনাইদহ থানা পুলিশ তাকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির জ्यেষ্ঠ সহ-সভাপতি আকতারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ২৯ আগস্ট বিএনপি নেতা আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আইনজীবী বিকাশ কুমার ঘোষসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামল়া দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তাঁর মালিকানাধীন ‘আকতার ফার্মেসি’তে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। দোকানে থাকা ওষুধ সংরক্ষণের একটি ফ্রিজ, দোকানে লাগানো এসি ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়। সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা কর্মচারীদের মারধর করে দোকানের ক্যাশবক্স থেকে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান। এ ছাড়া দোকানে থাকা সব ওষুধ ও আসবাবপত্র লুট করে বলে মামлায় উল্লেখ করা হয়।
ঘটনা নং-০২ঃ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন গ্রেপ্তার
গত ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরের নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপতার করা হয়। পরে তাঁকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে, বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, তিনি উক্ত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নন; তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মামলাটিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
BANGLADESH: JMBF condamne l’arrestation de deux avocats seniors à Jhenaidah et Kurigram ; demande leur libération immédiate et inconditionnelle

JMBF observe avec une profonde inquiétude qu’un phénomène inquiétant s’est développé récemment au Bangladesh, où des avocats renommés sont de plus en plus visés par une répression étatique et harcelés à travers des affaires politiquement motivées, simplement pour avoir accompli leurs responsabilités professionnelles et exprimé des opinions politiques divergentes. Les dernières victimes de cette pratique sont Me Bikash Kumar Ghosh, ancien avoué de l’État (Government Pleader, GP) de Jhenaidah, et Me Amjad Hossain, ancien secrétaire général de l’Association du barreau du district de Kurigram.
JMBF croit fermement que, conformément aux Principes fondamentaux des Nations Unies sur le rôle des avocats, les avocats ont le droit d’exercer leurs fonctions en toute indépendance et sans harcèlement ni intimidation. Le gouvernement du Bangladesh doit respecter cet engagement international.
D’après des sources internes fiables de JMBF et des articles parus dans divers journaux, l’ancien GP Me Bikash Kumar Ghosh a été interpellé par la police des frontières au poste-frontière de Darshana Joynagar alors qu’il rentrait d’Inde, où sa femme était hospitalisée, le 31 mai 2025. Il a ensuite été présenté comme arrêté dans une affaire à visée politique et emprisonné. Parallèlement, Me Amjad Hossain, avocat senior, a été arrêté à son domicile le 23 avril 2025 par la police de la section des enquêtes (Detective Branch, DB) puis présenté au tribunal comme suspect en vertu de la Loi sur les pouvoirs spéciaux, bien qu’il ne soit pas cité dans le premier procès-verbal (First Information Report, FIR).
Le célèbre défenseur des droits humains français et conseiller en chef de JMBF, Robert Simon, a déclaré : « Dans un État démocratique, l’arrestation et l’intimidation des avocats ne constituent pas seulement une violation des libertés individuelles, mais représentent aussi une menace grave pour la crédibilité du système judiciaire et les droits fondamentaux des citoyens. Notre protestation contre cette forme de répression politique au Bangladesh se poursuivra. Nous exigeons la libération immédiate et inconditionnelle de ces deux avocats. »
L’avocat bangladais et fondateur de JMBF, Me Shahanur Islam, a ajouté : « Les tactiques répressives du gouvernement visant les avocats posent une menace directe aux justiciables. Si les avocats sont intimidés de cette manière, l’indépendance de la magistrature sera démantelée. Dans un pays où les avocats ne sont pas en sécurité, le droit à un procès équitable pour les citoyens devient également illusoire. Aujourd’hui, si l’on fait taire les avocats, demain, la société tout entière sera réduite au silence. »
JMBF appelle le gouvernement à répondre sans délai aux exigences urgentes suivantes pour garantir la justice, protéger les droits de l’homme et préserver l’indépendance professionnelle des avocats :
- Libération immédiate et inconditionnelle de Me Bikash Kumar Ghosh et de Me Amjad Hossain: Les mesures prises contre ces éminents avocats ne constituent pas seulement un harcèlement politique, mais aussi une attaque directe contre l’indépendance de la magistrature et la dignité professionnelle des praticiens du droit. Nous exigeons leur libération immédiate.
- Retrait des affaires mensongères et politiquement motivées à leur encontre: Ces affaires ont été lancées sans enquête impartiale, ce qui représente un abus de l’autorité judiciaire. Ces dossiers doivent être retirés et l’État de droit doit être pleinement respecté.
- Prise de mesures effectives pour assurer l’indépendance professionnelle et la sécurité des avocats au Bangladesh: L’intimidation constante des avocats doit cesser, et ils doivent pouvoir exercer leur profession en toute indépendance et en toute sécurité.
JMBF appelle également les organisations internationales de défense des droits de l’homme et la société civile mondiale à unir leurs voix contre cette vague de répression. JMBF estime que ces incidents ne sont pas isolés, mais font partie d’une politique répressive à long terme ; dans une société où les avocats ne sont pas en sécurité, la justice et la démocratie sont gravement menacées.
JMBF exprime sa solidarité envers les avocats arrêtés et s’engage à suivre de près les violations des droits de l’homme qui leur sont faites.
Cordialement,
Me Mohammad Alamgir
Secrétaire général
JusticeMakers Bangladesh in France (JMFB)
Email : mohammad.alamgir@jmbf.org
Site web : www.jmbf.org
Faits en bref (Basés sur les sources fiables de JMFB et des articles publiés dans la presse) :
Incident n° 1 : Arrestation de l’ancien avoué de l’État, Me Bikash Kumar Ghosh, pour des accusations de vandalisme et de pillage
Le 31 mai 2025, l’avocat senior et ancien avoué de l’État de Jhenaidah, Me Bikash Kumar Ghosh, a été arrêté dans le cadre d’accusations de vandalisme et de pillage au sein des locaux d’“Akhtar Pharmacie”, commerce appartenant à Akhtaruzzaman, vice-président principal du BNP (Parti nationaliste du Bangladesh) de Jhenaidah. La police des frontières l’a interpellé au poste-frontière de Darshana Joynagar alors qu’il rentrait d’Inde.
Il s’était rendu en Inde le 13 mai avec son épouse, Rupa Rahut (48 ans), pour ses soins médicaux, accompagné de leur fille de 14 ans. Après 17 jours de traitement, ils retournaient au Bangladesh lorsqu’il a été interpellé.
Après son arrestation, il a été remis à la police de Jhenaidah qui l’a présenté comme arrêté dans une affaire déposée par Akhtaruzzaman le 29 août 2024, concernant un incident survenu le 4 août, pendant un mouvement étudiant-populaire. Il est accusé aux côtés de 30 autres personnes d’avoir participé au vandalisme et au pillage d’« Akhtar Pharmacie », où des activistes de la Ligue Awami auraient provoqué une explosion, détruit un réfrigérateur, la climatisation et un ordinateur, volé 150 000 BDT dans la caisse, brutalisé les employés du magasin et dérobé des médicaments et du mobilier.
Incident n° 2 : Arrestation de l’avocat senior Me Amjad Hossain en vertu de la Loi sur les pouvoirs spéciaux
Le 23 avril 2025, la police de la section des enquêtes (Detective Branch, DB) a arrêté Me Amjad Hossain, ancien secrétaire général de l’Association du barreau du district de Kurigram, à son domicile. Il a ensuite été présenté comme mis en accusation dans une affaire déposée en février 2025 en vertu de la Loi sur les pouvoirs spéciaux. Il est important de noter qu’il n’était pas cité dans le FIR ; il a été arrêté en tant que suspect.
***********************************************************************************
JMBF is an independent non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the association law of 1901, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond.
No comments:
Post a Comment