জেনেভা, সুইজারল্যান্ড; ২ অক্টোবর ২০২৫: ফ্রান্সভিত্তিক জাস্টিসমেকারস বাংলাদেশ (জেএমবিএফ)-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম বাংলাদেশের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি জেনেভায় জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে উত্থাপন করেছেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) এবং জাতিসংঘের বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আজ দুপুরে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রধান মি. ররি মুনগোভেনের সঙ্গে বৈঠকে ইসলাম জেএমবিএফ-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচনের বিষয় তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে তিনি সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, “বাংলাদেশে LGBTQI+ জনগোষ্ঠীর ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে হামলা চলছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে, যা আইনজীবীদের ওপর বিস্তৃত দমন-পীড়নের অংশ।
অ্যাডভোকেট ইসলাম অভিযোগ করেন যে সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করছে। তিনি বিশেষভাবে সাংবাদিক ফারজানা রূপার কথা উল্লেখ করেন, যিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মিথ্যা হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের এবং সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রত্যুত্তরে মুনগোভেন জানান, জাতিসংঘ সংস্কার উদ্যোগে অন্তর্বর্তী সরকারকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারা, বিশেষ করে সাজানো মামলা, এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি ইসলামকে আশ্বস্ত করেন যে তার উত্থাপিত উদ্বেগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এবং LGBTQI+ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লঙ্ঘনগুলো যৌন অভিমুখিতা ও লিঙ্গ পরিচয় বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের কাছে প্রেরণ করা হবে।
বৈঠকে অ্যাডভোকেট ইসলাম জেএমবিএফ-এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন—বাংলাদেশের LGBTQI+ অধিকারের ওপর বার্ষিক প্রতিবেদন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যুর সারসংক্ষেপ, এবং আইনজীবীদের ওপর দমন অভিযানের একটি অপ্রকাশিত পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ—হস্তান্তর করেন। বৈঠকে জেএমবিএফ-এর সদস্য মো. শফিক আহমদ এবং OHCHR কর্মকর্তা লিভিয়া কসেনজা উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া সকালে অ্যাডভোকেট ইসলাম জাতিসংঘ দপ্তরে বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের কার্যালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেলানি সান্তিজো সান্দোভাল। বৈঠকে অ্যাডভোকেট ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে “পদ্ধতিগত হয়রানি, ইচ্ছাকৃত গ্রেপ্তার এবং সাজানো মামলা” চলছে। বিশেষ প্রতিবেদকের কার্যালয় এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আলোচনার পর ইসলাম বলেন, “এই বৈঠকগুলো অত্যন্ত জরুরি ছিল, যাতে বাংলাদেশের ভুক্তভোগীদের কণ্ঠ আন্তর্জাতিক পরিসরে উপেক্ষিত না হয়। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে প্রমাণ উপস্থাপন করতে থাকব, যতদিন না জবাবদিহি নিশ্চিত হয়।”
জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই ধারাবাহিক বৈঠক জেএমবিএফ-এর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরে, যেখানে সংগঠনটি আইনজীবী, সাংবাদিক ও LGBTQI+ জনগোষ্ঠীর ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখোমুখি করতে কাজ করে যাচ্ছে।
Violations des droits humains au Bangladesh portées devant l’ONU : le président du JMBF rencontre le HCDH et le Rapporteur spécial à Genève
Genève, Suisse ; 2 octobre 2025 : La dégradation de la situation des droits humains au Bangladesh a été portée à l’attention de hauts responsables des Nations Unies à Genève, alors qu’Advocate Shahanur Islam, président de JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), a tenu des réunions bilatérales avec des représentants de haut niveau du Haut-Commissariat des Nations Unies aux droits de l’homme (HCDH) et du Rapporteur spécial des Nations Unies sur l’indépendance des juges et des avocats.
Lors d’une rencontre cet après-midi avec Rory Mungoven, chef de la Division Asie-Pacifique du HCDH, M. Islam a présenté les dernières conclusions de JMBF concernant la répression politique, la violence d’État et la réduction des libertés civiles sous le gouvernement intérimaire du pays. Il a mis en garde contre « une intensification des attaques » visant les personnes LGBTQI+, en s’appuyant sur les données recueillies par son organisation. Il a également dénoncé l’arrestation et les actes de torture signalés à l’encontre de la juriste Barrister Turin Afroz, qualifiant cet événement de partie intégrante d’une répression plus large contre les avocats.
M. Islam a accusé les autorités de museler la presse au moyen de procès fabriqués, en attirant notamment l’attention sur le cas de la journaliste Farzana Rua, incarcérée depuis plus d’un an pour des accusations de meurtre qu’il a qualifiées de fallacieuses. Il a en outre souligné ce qu’il considère comme un schéma de fausses inculpations visant des dirigeants et militants de l’opposition, parallèlement à une recrudescence de la violence politique à l’échelle nationale.
En réponse, M. Mungoven a confirmé que l’ONU apportait un appui technique au gouvernement intérimaire pour ses initiatives de réforme, mais a reconnu que les violations, y compris les affaires fabriquées, persistaient. Il a assuré à M. Islam que ses préoccupations seraient transmises aux autorités compétentes et portées à l’attention du Rapporteur spécial sur l’orientation sexuelle et l’identité de genre.
Au cours de cette réunion, M. Islam a remis trois documents clés : le Rapport annuel de JMBF sur les droits LGBTQI+ au Bangladesh, un rapport synthétique sur les exécutions extrajudiciaires et les décès en détention, ainsi qu’une étude statistique inédite sur la répression des avocats. La rencontre s’est déroulée en présence de Md. Sofik Ahmad, membre de JMBF, et de Livia Cosenza, fonctionnaire du HCDH.
Plus tôt dans la journée, M. Islam a également rencontré le Bureau du Rapporteur spécial sur l’indépendance des juges et des avocats, représenté par Mme Melanie Santizo Sandoval. Il y a décrit ce qu’il appelle « une campagne systématique » de harcèlement et de détentions arbitraires visant les avocats bangladais. Le Bureau du Rapporteur spécial a exprimé une vive inquiétude et s’est engagé à adresser une communication officielle au gouvernement intérimaire.
« Ces réunions étaient essentielles pour que la voix des victimes au Bangladesh ne soit pas ignorée », a déclaré M. Islam à l’issue des discussions. « Nous continuerons à apporter des preuves à la communauté internationale jusqu’à ce que la reddition de comptes soit assurée. »
Ces rencontres successives soulignent le rôle croissant de JMBF dans le plaidoyer international, alors que l’organisation exhorte les Nations Unies à confronter les autorités intérimaires du Bangladesh face aux violations des droits humains visant les avocats, les journalistes et la communauté LGBTQI+.
No comments:
Post a Comment