Bangladesh stands today at a critical juncture of political confrontation. Recently, the blockade program organized by the NCP (Nationalist Citizens’ Platform) in Dhaka’s Shahbagh has rekindled political uncertainty and security concerns. The open participation of anti-liberation and extremist Islamist fundamentalist groups in this movement indicates that this is not an isolated political incident but rather the result of a well-planned and coordinated subversive operation.
What makes this movement particularly significant is that it is not merely about political activism from traditionally anti-liberation groups like Jamaat-e-Islami. It also involves Islami Chhatra Shibir, Hefazat-e-Islam, Hizb ut-Tahrir, Ansarullah Bangla Team, and even the Bangladesh wing of the internationally recognized terrorist network Lashkar-e-Taiba. Together, these groups have announced that if the Awami League is not banned, they will cut Dhaka off from the rest of the country. Even more alarming is the fact that these threatening rallies are taking place right in front of the state apparatus—with police presence—and amid practical silence from the administration.
According to political analysts, this movement is suspected to be backed by a specific agenda of the current interim government. Many are pointing fingers at this unelected government, particularly under the leadership of Professor Muhammad Yunus. There is a growing belief that they are trying to avoid a democratic election and are instead using fundamentalist groups as a means to remain in power for a longer period.
At Shahbagh, slogans like “There is no place for the Awami League in Golam Azam’s Bangladesh, no place for the Awami League in Nizami’s Bangladesh” were heard. These are not mere political chants but chilling reminders of a return to the dark days of 1971 when similar forces opposed the Liberation War. The descendants of those war criminals now seem to be reemerging in new disguises, this time accompanied by a so-called neutral government that is allegedly seeking alternative ways to cling to power.
This raises the critical question: Is the administration’s silence a sign of failure, or is it a planned expression of sympathy? Such a radical Islamist gathering in the heart of the capital, allowed to continue for days without any obstruction, is only possible when a clear message from the top is given—"Let it go on."
But it does not stop there. These fundamentalist groups have in the past been directly involved in blogger killings, murders of foreign nationals, assassinations of writers, and various terrorist attacks. Their unification now signals a larger conspiracy—an attempt to wipe out progressive, democratic, and pro-Liberation War forces in Bangladesh and establish a dangerous, medieval state structure.
The people of Bangladesh have achieved independence through immense sacrifice, bloodshed, and struggle. Those who now seek to erase that history to build "Golam Azam's Bangladesh" are in fact enemies of the nation's very existence. They exploit religion to confuse the masses, while simultaneously trying to infiltrate the corridors of power through undemocratic and illegitimate means. In the interest of the country's independence, democracy, and social harmony, it is imperative to resist this sinister plot.
If resistance does not emerge now, we may soon find that uttering the word "progressive" becomes a crime, speaking in favor of the Constitution is labeled as treason, and democracy remains only a memory inscribed in the pages of history.
About the Author: Shahanur Islam is a Bangladeshi human rights lawyer and recipient of the 2023 French government’s Marianne Initiative for Human Rights Defenders award. He currently serves as the founding president of JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF). Email: shahanur.islam@jmbf.org, Website: http://www.jmbf.org, Phone/WhatsApp: +33783952315
তবে কি দেশে স্বাধীনতা বিরোধী ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে যাচ্ছে?
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
বাংলাদেশ আজ একটি গভীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এনসিপি’র ডাকা ব্লকেড কর্মসূচি নতুন করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই কর্মসূচিতে যেভাবে স্বাধীনতাবিরোধী এবং উগ্র ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ করেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে—এটি কোনো বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার ফল।
এই কর্মসূচির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, এটি কেবল জামাতে ইসলামীর মতো ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সক্রিয়তা নয়, বরং এতে জড়িত রয়েছে ইসলামি ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম, হিজবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে পরিচিত লস্কর-ই-তৈয়বার বাংলাদেশ শাখাও। এরা একত্রে ঘোষণা দিয়েছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে তারা ঢাকা শহর বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এরচেয়ে উদ্বেগজনক সত্য হলো, এই হুমকিমূলক সমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখের সামনেই, পুলিশের উপস্থিতিতে, প্রশাসনের কার্যত নীরবতার মধ্যে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য। বিশেষ করে, প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অনির্বাচিত সরকারের উপর সন্দেহের তীর নির্দেশ করছে বিভিন্ন মহল। মনে করা হচ্ছে, তারা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন এড়িয়ে, মৌলবাদী গোষ্ঠীর শক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার বা আরও দীর্ঘ সময় দখলে রাখার কৌশল বাস্তবায়ন করছে।
শাহবাগে মৌলবাদীদের মুখে যেভাবে শোনা গেল—“গোলাম আজমের বাংলায় আওয়ামী লীগের স্থান নেই, নিজামীর বাংলায় আওয়ামী লীগের স্থান নেই”—তাতে ইতিহাস যেন পুনরায় ফিরে আসার ভয় দেখাচ্ছে। এটি নিছক একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়, বরং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী শক্তির নতুন মোড়কে প্রত্যাবর্তনের বার্তা। একাত্তরের ঘাতকের উত্তরসূরিরা যেন নতুন ছদ্মবেশে আবারও আত্মপ্রকাশ করছে, আর এবার তাদের সহযাত্রী হিসেবে রয়েছে একটি কথিত নিরপেক্ষ সরকার, যারা আসলে ক্ষমতায় থাকার বিকল্প পথ খুঁজছে।
এখানে প্রশ্ন উঠে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের এই নীরবতা কি ব্যর্থতা, নাকি পরিকল্পিত সহানুভূতি? রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে এমন একটি উগ্র মৌলবাদী সমাবেশ কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দিনের পর দিন চলতে পারে, শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন উপর থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়—“চলতে দাও”।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। এই মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যেই অতীতে ব্লগার হত্যা, বিদেশি নাগরিক হত্যা, লেখক নিধন ও বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। এখন তাদের একত্রিত হওয়ার ঘটনা একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রেরই ইঙ্গিত দেয়—যেখানে বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে নির্মূল করে একটি নতুন, ভয়ঙ্কর, মধ্যযুগীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশের জনগণ বহু রক্ত, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আজ সেই ইতিহাসকে মুছে দিয়ে যারা “গোলাম আজমের বাংলা” গড়তে চায়, তারা আসলে এই দেশের অস্তিত্বের শত্রু। তারা একদিকে ধর্মকে ব্যবহার করে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ায়, অন্যদিকে ক্ষমতার অলিন্দে জায়গা করে নিতে চায় অনির্বাচিত ও অবৈধ পথে। দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সামাজিক সম্প্রীতির স্বার্থে এই অপচেষ্টা প্রতিহত করা আজ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।
যদি এখনই প্রতিরোধ না আসে, তাহলে আমরা দেখতে পাবো—প্রগতিশীলতার নামোচ্চারণ করা অপরাধ হয়ে দাঁড়াবে, সংবিধানের পক্ষে কথা বলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলা হবে, এবং গণতন্ত্র একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে কেবল ইতিহাসের পাতায়।
লেখক: একজন বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী এবং ২০২৩ সালে ফ্রান্স সরকারের ম্যারিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স পুরস্কার প্রাপ্ত। বর্তমানে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইমেইল: shahanur.islam@jmbf.org, ওয়েবসাইট: www.jmbf.org, মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ: +৩৩৭৮৩৯৫২৩১৫
Le pays se dirige-t-il vers une consolidation du pouvoir par des forces islamistes fondamentalistes anti-libération ?
Par l’avocat Shahanur Islam
Le Bangladesh se trouve aujourd’hui à un tournant critique de confrontation politique. Récemment, le programme de blocus organisé par le NCP (Plateforme nationale des citoyens) à Shahbagh, à Dhaka, a ravivé l’incertitude politique et les préoccupations sécuritaires. La participation ouverte de groupes fondamentalistes islamistes extrémistes et anti-libération à ce mouvement indique qu’il ne s’agit pas d’un incident politique isolé, mais bien du fruit d’une opération subversive planifiée et coordonnée.
Ce qui rend ce mouvement particulièrement préoccupant, c’est qu’il ne s’agit pas simplement d’un activisme politique émanant de groupes traditionnellement anti-libération comme le Jamaat-e-Islami. Il implique également l’Islami Chhatra Shibir, Hefazat-e-Islam, Hizb ut-Tahrir, Ansarullah Bangla Team, ainsi que la branche bangladaise du réseau terroriste internationalement reconnu Lashkar-e-Taiba. Ces groupes ont annoncé conjointement que si la Ligue Awami n’est pas interdite, ils isoleront Dhaka du reste du pays. Encore plus alarmant : ces rassemblements menaçants ont lieu en plein cœur de la capitale, sous la présence des forces de l’ordre – et dans un silence quasi total de l’administration.
Selon des analystes politiques, ce mouvement serait soutenu par un agenda spécifique du gouvernement intérimaire actuel. Nombreux sont ceux qui accusent ce gouvernement non élu, dirigé notamment par le professeur Muhammad Yunus, de chercher à éviter des élections démocratiques en s’appuyant sur des groupes fondamentalistes comme levier pour se maintenir au pouvoir plus longtemps.
À Shahbagh, des slogans tels que « Il n’y a pas de place pour la Ligue Awami dans le Bangladesh de Golam Azam, pas de place pour la Ligue Awami dans le Bangladesh de Nizami » ont été entendus. Ce ne sont pas de simples slogans politiques, mais des rappels glaçants des jours sombres de 1971, lorsque des forces similaires se sont opposées à la guerre de libération. Les descendants de ces criminels de guerre semblent aujourd’hui réapparaître sous de nouveaux visages, accompagnés cette fois d’un prétendu gouvernement neutre qui chercherait des moyens alternatifs pour conserver le pouvoir.
Cela soulève une question cruciale : le silence de l’administration est-il un signe d’échec ou une expression planifiée de sympathie ? Une telle mobilisation islamiste radicale au cœur de la capitale, autorisée à durer des jours sans entrave, n’est possible que lorsqu’un message clair est donné depuis les plus hauts niveaux : « Laissez faire ».
Mais cela ne s’arrête pas là. Ces groupes fondamentalistes ont déjà été directement impliqués dans des assassinats de blogueurs, de ressortissants étrangers, d’écrivains, ainsi que dans diverses attaques terroristes. Leur unification actuelle signale un complot plus vaste – une tentative d’éliminer les forces progressistes, démocratiques et pro-libération au Bangladesh pour instaurer une structure étatique médiévale et dangereuse.
Le peuple du Bangladesh a obtenu son indépendance au prix d’immenses sacrifices, de sang et de luttes. Ceux qui cherchent aujourd’hui à effacer cette histoire pour construire un « Bangladesh de Golam Azam » sont en réalité les ennemis mêmes de l’existence de la nation. Ils exploitent la religion pour semer la confusion parmi les masses, tout en tentant simultanément d’infiltrer les cercles du pouvoir par des moyens antidémocratiques et illégitimes. Dans l’intérêt de l’indépendance du pays, de la démocratie et de l’harmonie sociale, il est impératif de résister à ce complot sinistre.
Si une résistance ne se manifeste pas dès maintenant, nous risquons bientôt de voir le mot « progressiste » devenir un crime, de voir toute défense de la Constitution qualifiée de trahison, et de ne plus retrouver la démocratie que dans les pages des livres d’histoire.
À propos de l’auteur : Shahanur Islam est un avocat bangladais spécialisé en droits humains et lauréat en 2023 de l’Initiative Marianne du gouvernement français pour les défenseurs des droits humains. Il est actuellement président fondateur de JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF). Email : shahanur.islam@jmbf.org, Site web : http://www.jmbf.org, Téléphone / WhatsApp : +33783952315
JMBF is an independent non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the association law of 1901, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond.
No comments:
Post a Comment