This is not an isolated incident in Faridganj, Chandpur. It is symbolic of the persistent violence, social exclusion, and governmental inaction toward lesbian women in Bangladesh. Lesbian women, in particular, remain one of the most invisible, vulnerable, and unprotected communities in the country. Society treats their love as a shameful secret, families see it as dishonor, and the state outright denies their existence. The Faridganj incident brings this reality into sharp focus.
Various studies and reports by human rights organizations have consistently highlighted the growing violence against the LGBTQ+ community in Bangladesh. The France-based human rights organization Justicemakers Bangladesh in France recently published an observational report that reveals alarming trends of increasing violence against queer individuals in the country. According to the report, in 2022, 204 individuals were victims of 51 incidents. In 2023, the numbers rose to 219 victims across 56 incidents. By 2024, the situation worsened, with 396 individuals affected in 70 reported incidents. This upward trend is not just alarming—it is a stark reflection of systemic social and state failure.
On August 5, 2024, after the fall of the Awami League government, an interim government was formed under the leadership of Muhammad Yunus. Many members of the queer community were hopeful that this might reduce the violence and that the state might finally show some empathy toward their rights. However, the reality turned out to be the exact opposite. During Yunus's tenure, Islamic fundamentalist groups gained momentum, and the persecution of queer individuals multiplied. As a result, many LGBTQ+ individuals went into hiding and effectively disappeared from social and state structures.
The report further states that many lesbian women in Bangladesh are regularly subjected to multifaceted abuse and violence. Many are forced into heterosexual marriages. Sometimes, they are declared mentally ill and sent to rehabilitation centers or psychiatric institutions. Perhaps the most horrifying revelation is the practice of so-called “corrective rape”—where women are raped by men with the intent to “straighten” their sexuality. This is not only a heinous crime both morally and legally, but it is also a medieval barbarity that is being used as a silent weapon of oppression in today’s Bangladesh.
This persecution is not limited to personal or familial domains. A form of silent approval can also be observed at the state level. Although Section 377 of the Bangladesh Penal Code is not actively enforced, it remains a “legal threat.” The conservative outlook of law enforcement was made starkly clear in the Faridganj case. The police could have provided the girls with a safe shelter under the Department of Social Services. Instead, they returned them to their families, where they were likely to face renewed abuse or even more dangerous outcomes.
Articles 27 and 28 of the Constitution of Bangladesh clearly state that all citizens are equal before the law and that it is the state's responsibility to protect their dignity and rights. Yet, for sexual minorities, these fundamental principles remain practically inapplicable. They receive no legal protection, and the state has not taken any effective steps in their favor.
International human rights organizations have always maintained a clear stance on this issue. Organizations like Amnesty International, Human Rights Watch, and UNHCR have repeatedly urged the Bangladeshi government to take effective measures to protect the rights of sexual minorities. But so far, the state has failed to implement any fundamental reforms or awareness-building initiatives. Instead, discussions about sexual diversity are often dismissed as political conspiracies or framed as "Western cultural infiltration."
This raises a fundamental question: Is love truly such a great crime? Should a person’s choice of whom they love or feel attracted to be confined only within the religious and social norms of the majority? In the 21st century, will Bangladesh continue to subject people to persecution, humiliation, and social death for the “crime” of love?
This is a timely question—one that the state of Bangladesh must address both theoretically and practically. If Bangladesh aspires to be a humane, democratic, and empathetic nation, it must take a firm stand against the persecution of lesbian women. Legal reforms, inclusive sexual and gender education, and the provision of safe shelters and legal aid for LGBTQ+ individuals are now of paramount importance.
The love between Arohi and Ritu is not a crime—rather, the real crime is the cruel, inhumane, and unjust response of the state and society toward them. The sooner the state and society recognize this truth, the sooner we can build a humane, just, and equal Bangladesh. Failure to do so will cause Bangladesh to lose its commitment to human rights and democratic values.
Author: A Bangladeshi human rights lawyer and recipient of the 2023 French Government’s Marianne Initiative for Human Rights Defenders award. Currently serving as the founding president of Justicemakers Bangladesh in France (JMBF).
Email: shahanur.islam@jmbf.org | Website: www.jmbf.org | Mobile/WhatsApp: +33783952315
ভালোবাসার অপরাধ? রাষ্ট্রীয় নির্লিপ্ততা ও সমকামী নারীদের নিপীড়নের শিকার হওয়া এক বাংলাদেশি বাস্তবতা
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
২৬ এপ্রিল ২০২৫, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুই কিশোরী—আরোহী ও রিতু—তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং নিজ উদ্যোগে ‘বিয়ে’ করার চেষ্টা করে। এটিই তাদের “অপরাধ”। সমাজের চোখে, পরিবারের দৃষ্টিতে, এমনকি রাষ্ট্রের মনোভাবেও—তাদের সম্পর্ককে বেআইনি, অনৈতিক ও বিকৃত হিসেবে দেখা হয়। ফলে তাদের ভালোবাসাকে বৈধতা না দিয়ে, তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়। স্থানীয় ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর চাপে পরিবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আবার নিজের সামাজিক ও আইনি দায়িত্ব এড়িয়ে এইরূপ ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সে ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করে তাদের পরদিনই পরিবারে ফিরিয়ে দেয়, যেন সমাজ ও ধর্মীয় গোষ্ঠী তাদের ‘শোধরানোর’ দায়িত্ব পালন করে। রাষ্ট্র এখানে একটি নীরব দর্শক, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যত নিপীড়নের সহযোগী। এটি বাংলাদেশের সমকামী নারীদের প্রতি দীর্ঘকালীন নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় নির্লিপ্ততার একটি চিত্র।
এই ঘটনা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি বাংলাদেশের সমকামী নারীদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতা, সামাজিক বর্জন এবং রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তার একটি প্রতীক। বিশেষ করে লেসবিয়ান নারীরা এই সমাজে সবচেয়ে অদৃশ্য, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবচেয়ে অরক্ষিত সম্প্রদায়গুলোর একটি। সমাজ তাদের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি না দিয়ে এক প্রকার গোপন লজ্জায় পরিণত করে, পরিবার তা অপমান হিসেবে গ্রহণ করে, আর রাষ্ট্র তাদের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে। চাঁদপুরের ঘটনাটি একে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরেছে।
বিভিন্ন গবেষণায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও এটি উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশে সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি সহিংসতা দিন দিন বাড়েই চলেছে। ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা “জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স” সম্প্রতি একটি পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশে সমকামীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে ৫১টি ঘটনার মাধ্যমে ২০৪ জন সমকামী ব্যক্তি সহিংসতার শিকার হন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা বাড়ে—৫৬টি ঘটনার মাধ্যমে ২১৯ জন আক্রান্ত হন। ২০২৪ সালে সহিংসতার মাত্রা আরও বেড়ে যায় এবং ৭০টি ঘটনার মাধ্যমে ৩৯৬ জন সমকামী ব্যক্তি এই নিপীড়নের শিকার হন। সংখ্যাগুলোর এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কেবল ভয়াবহই নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল। সমকামী সম্প্রদায়ের অনেকেই তখন আশাবাদী হয়েছিলেন যে হয়তো এবার নিপীড়নের মাত্রা কমবে, এবং রাষ্ট্র তাদের অধিকারের প্রতি কিছুটা সহানুভূতিশীল হবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। ইউনুস সরকারের সময় ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর উত্থান যেমন ত্বরান্বিত হয়েছে, তেমনি সমকামী জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নও বহুগুণে বেড়েছে। এর ফলে দেশের বহু সমকামী ব্যক্তি এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাঠামো থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছেন।
প্রতিবেদন আরও জানায়, বাংলাদেশে বহু লেসবিয়ান নারী প্রতিনিয়ত নানামুখী সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তাদের অনেককে জোর করে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। কখনও কখনও তাদের মানসিক রোগী হিসেবে ঘোষণা করে পাঠানো হয় রিহ্যাব সেন্টার বা মানসিক হাসপাতালের মতো জায়গায়। সবচেয়ে ভয়াবহ যে তথ্যটি উঠে এসেছে তা হলো তথাকথিত “সংশোধনমূলক ধর্ষণ” বা corrective rape—যেখানে একজন নারীকে তার যৌনতা ‘সোজা’ করার নামে বিপরীত লিঙ্গের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হতে বাধ্য করা হয়। এটি শুধুই মানবিক ও আইনগতভাবে জঘন্য অপরাধ নয়, এটি একটি মধ্যযুগীয় বর্বরতার স্মারক, যা আজকের বাংলাদেশে নিপীড়নের এক নীরব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই নিপীড়ন কেবল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক পরিসরে সীমাবদ্ধ নয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এর এক ধরনের নীরব অনুমোদন লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা, যদিও বর্তমানে তেমন কার্যকর নয়, তবুও এটি একটি ‘লিগ্যাল থ্রেট’ বা আইনগত হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে। প্রশাসন এবং পুলিশের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি ফরিদগঞ্জের ঘটনাতেই স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। চাইলে পুলিশ ওই দুই কিশোরীকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে পারত, কিন্তু তারা তা না করে তাদের আবার পরিবারে ফিরিয়ে দেয়, যেখানে তারা পুনরায় নিপীড়নের শিকার হতে পারে বা আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু যৌন সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এই মৌলিক নীতিমালাগুলো প্রায় সম্পূর্ণরূপে অপ্রযোজ্য থেকে যায়। তারা আইনগত সুরক্ষা পায় না, এবং রাষ্ট্রের কোনো কার্যকর উদ্যোগ তাদের পক্ষে নেওয়া হয় না।
এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও ইউএনএইচসিআরের মতো সংস্থাগুলো একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারকে যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত কোনো মৌলিক সংস্কার বা সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। বরং, যৌন বৈচিত্র্য নিয়ে আলোচনাকে প্রায়শই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কিংবা ‘পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রশ্ন জাগে: ভালোবাসা কি সত্যিই এত বড় অপরাধ? একজন মানুষ কাকে ভালোবাসবেন, কার প্রতি আকৃষ্ট হবেন—এই গভীর মানবিক অনুভূতি কি কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে আবদ্ধ থাকবে? বাংলাদেশ কি একবিংশ শতাব্দীতেও ভালোবাসার অপরাধে মানুষকে নিপীড়ন, লাঞ্ছনা ও সামাজিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে?
এটি একটি সময়োপযোগী প্রশ্ন, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের জন্য তাত্ত্বিকভাবে এবং বাস্তবেও সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ যদি একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক, এবং সহানুভূতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চায়, তবে অবশ্যই সমকামী নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আইনি সংস্কার, সমাজে যৌনতা এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অন্তর্ভুক্তি এবং সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ আশ্রয় এবং আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরোহী ও রিতুর ভালোবাসা কোনো অপরাধ নয়—বরং তাদের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের এই নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অন্যায় প্রতিক্রিয়াটিই প্রকৃত অপরাধ। যত দ্রুত এই সত্য রাষ্ট্র ও সমাজ উপলব্ধি করবে, তত দ্রুত আমরা একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমানাধিকারের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। দ্রুত এই সত্য উপলব্ধি না হলে, বাংলাদেশ তার মানবাধিকার চেতনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে এক বিশাল দায়বদ্ধতা হারাবে।
লেখক: একজন বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী এবং ২০২৩ সালে ফ্রান্স সরকারের ম্যারিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স পুরস্কার প্রাপ্ত। বর্তমানে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইমেইল: shahanur.islam@jmbf.org, ওয়েবসাইট: www.jmbf.org, মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ: +৩৩৭৮৩৯৫২৩১৫
Par : Me Shahanur Islam
Le 26 avril 2025, à Faridganj, dans le district de Chandpur, deux adolescentes, Arohi et Ritu, ont exprimé leur amour mutuel et ont tenté de « se marier » de leur propre initiative. Tel fut leur « crime ». Aux yeux de la société, de leurs familles et même de l’État, leur relation était considérée comme illégale, immorale et perverse. En conséquence, au lieu de valider leur amour, elles ont été soumises à la persécution. Sous la pression de groupes fondamentalistes islamiques locaux, leurs familles les ont livrées à la police. Cette dernière, au lieu d’assumer ses devoirs sociaux et légaux, s’est contentée de leur adresser un sévère avertissement afin qu’un tel incident ne se reproduise plus, avant de les renvoyer chez elles le lendemain – confiant ainsi à la société et aux groupes religieux la « responsabilité » de les « corriger ». Dans cette affaire, l’État est resté un spectateur silencieux, et les forces de l’ordre se sont rendues complices de la persécution. Ce cas illustre l’oppression persistante et l’indifférence de l’État à l’égard des femmes lesbiennes au Bangladesh.
Ce n’est pas un incident isolé à Faridganj, Chandpur. Il symbolise la violence persistante, l’exclusion sociale et l’inaction gouvernementale envers les femmes lesbiennes au Bangladesh. Ces dernières constituent l’une des communautés les plus invisibles, vulnérables et non protégées du pays. La société considère leur amour comme une honte secrète, les familles le voient comme un déshonneur, et l’État nie purement et simplement leur existence. L’incident de Faridganj met cruellement cette réalité en lumière.
Diverses études et rapports d’organisations de défense des droits humains ont régulièrement mis en évidence la montée de la violence contre la communauté LGBTQ+ au Bangladesh. L’organisation de défense des droits humains Justicemakers Bangladesh in France, basée en France, a récemment publié un rapport d’observation révélant des tendances alarmantes d’augmentation des violences contre les personnes queer dans le pays. Selon ce rapport, en 2022, 204 personnes ont été victimes de 51 incidents. En 2023, les chiffres sont montés à 219 victimes dans 56 incidents. En 2024, la situation s’est encore aggravée, avec 396 personnes touchées dans 70 incidents rapportés. Cette tendance à la hausse n’est pas seulement alarmante – elle reflète un échec systémique, tant social que politique.
Le 5 août 2024, après la chute du gouvernement de la Ligue Awami, un gouvernement intérimaire a été mis en place sous la direction de Muhammad Yunus. De nombreux membres de la communauté queer espéraient que cela entraînerait une diminution des violences et que l’État commencerait enfin à faire preuve d’empathie à l’égard de leurs droits. Or, la réalité s’est avérée être tout le contraire. Sous le gouvernement Yunus, les groupes fondamentalistes islamiques ont gagné en puissance, et les persécutions contre les personnes queer se sont multipliées. En conséquence, de nombreuses personnes LGBTQ+ se sont cachées, disparaissant de fait des structures sociales et administratives.
Le rapport précise en outre que de nombreuses femmes lesbiennes au Bangladesh sont régulièrement victimes de violences multiformes. Nombre d’entre elles sont forcées à des mariages hétérosexuels. Parfois, elles sont déclarées malades mentales et envoyées dans des centres de réhabilitation ou des institutions psychiatriques. L’un des éléments les plus horrifiants mis en lumière est la pratique du « viol correctif » – où des femmes sont violées par des hommes dans le but prétendu de « corriger » leur orientation sexuelle. Ce crime, d’une extrême gravité tant moralement que légalement, constitue une barbarie médiévale utilisée comme arme silencieuse d’oppression dans le Bangladesh contemporain.
Cette persécution ne se limite pas à la sphère privée ou familiale. Une forme d’approbation silencieuse se manifeste également au niveau de l’État. Bien que l’article 377 du Code pénal du Bangladesh ne soit plus activement appliqué, il reste une « menace juridique ». Le conservatisme des forces de l’ordre est clairement apparu dans l’affaire de Faridganj. La police aurait pu orienter les jeunes filles vers un centre d’accueil sous la tutelle du Département des affaires sociales. Au lieu de cela, elle les a renvoyées dans leurs familles, où elles risquaient de subir de nouvelles violences, voire des traitements encore plus dangereux.
Les articles 27 et 28 de la Constitution du Bangladesh déclarent clairement que tous les citoyens sont égaux devant la loi et que l’État a pour devoir de protéger leur dignité et leurs droits. Pourtant, pour les minorités sexuelles, ces principes fondamentaux restent inapplicables dans la réalité. Elles ne bénéficient d’aucune protection juridique, et l’État n’a mis en œuvre aucune mesure efficace en leur faveur.
Les organisations internationales de défense des droits humains ont toujours adopté une position claire sur cette question. Des organisations comme Amnesty International, Human Rights Watch et le HCR (UNHCR) ont maintes fois appelé le gouvernement bangladais à prendre des mesures concrètes pour protéger les droits des minorités sexuelles. Jusqu’à présent, l’État n’a entrepris aucune réforme fondamentale ni initiative de sensibilisation. Au contraire, les discussions sur la diversité sexuelle sont souvent balayées comme des conspirations politiques ou présentées comme une « infiltration culturelle occidentale ».
Cela soulève une question fondamentale : l’amour est-il véritablement un si grand crime ? Le choix d’une personne quant à celle qu’elle aime ou envers qui elle ressent une attirance doit-il être limité aux normes religieuses et sociales de la majorité ? Au XXIe siècle, le Bangladesh continuera-t-il à infliger persécutions, humiliations et mort sociale pour le « crime » d’aimer ?
C’est une question d’actualité – une question à laquelle l’État du Bangladesh doit répondre, tant sur le plan théorique que pratique. Si le pays aspire à devenir une nation humaine, démocratique et empathique, il doit prendre position contre la persécution des femmes lesbiennes. Des réformes légales, une éducation inclusive à la sexualité et au genre, ainsi que la mise à disposition d’abris sûrs et d’une aide juridique pour les personnes LGBTQ+ sont désormais des priorités absolues.
L’amour entre Arohi et Ritu n’est pas un crime – le véritable crime réside dans la réponse cruelle, inhumaine et injuste de l’État et de la société à leur égard. Plus tôt l’État et la société reconnaîtront cette vérité, plus vite nous pourrons construire un Bangladesh humain, juste et égalitaire. Faillir à cela reviendrait à renier l’engagement du Bangladesh en faveur des droits humains et des valeurs démocratiques.
Auteur : Avocat bangladais spécialisé en droits humains, lauréat de l’Initiative Marianne 2023 pour les défenseurs des droits humains du gouvernement français. Président fondateur de Justicemakers Bangladesh in France (JMBF). Email : shahanur.islam@jmbf.org
Site web : www.jmbf.org, Téléphone/WhatsApp : +33 7 83 95 23 15
No comments:
Post a Comment