Simply put, this action appears to be a calculated attempt to dismantle the democratic process. The people of Bangladesh have long struggled to secure democracy. The nation's independence in 1971 was achieved through immense sacrifice. Yet today, the interim administration—expected to function as a caretaker body—has banned a historic political party that played a key role in the country's liberation movement. This decision constitutes a grave threat to Bangladesh’s democratic fabric.
The legality of the ban is deeply questionable. To date, no court has convicted Sheikh Hasina or the Awami League. Thus, barring a major political party with widespread public support is both legally baseless and morally indefensible. A political party representing nearly half the population cannot be sidelined through an executive order without public consultation or judicial oversight.
The ban was driven by political motives rather than legal merit. The government's justification lacks transparency and coherence. It prompts a fundamental question: under what legal authority has this ban been enforced? If left unchecked, such actions risk eroding public trust in the judiciary and the rule of law.
This decision starkly contradicts recommendations from the United Nations Human Rights Council, which explicitly advises against banning political parties and instead emphasizes protecting political participation as a basic right. In any democratic system—particularly one under international observation—such drastic actions must follow an inclusive, legal process. In this case, that process is conspicuously absent.
By ignoring these international norms, Bangladesh’s government may jeopardize its global standing and diplomatic credibility. The move is likely to invite international criticism and could adversely affect foreign relations and aid.
The government's justification also falls flat in light of recent events. Alleged acts of violence and unrest between August 5 and 15—including attacks on police stations, arson, looting, and targeted killings—have been cited. However, no transparent investigation has been carried out, nor have those responsible been brought to justice. Even high-profile incidents, such as sniper attacks, remain unsolved. This lack of accountability raises serious doubts about the government's intentions.
Instead of impartial justice, we are witnessing a troubling pattern: the government is selectively targeting a single political party while evading accountability for its own failures. Such partisan maneuvering further weakens democratic institutions.
This decision is likely to deepen political polarization and national division. An interim government’s role should be to foster dialogue, unity, and electoral integrity—not to suppress opposition voices. By escalating repression rather than promoting reconciliation, the government risks plunging the country into renewed political conflict.
Bangladesh’s democratic journey demands inclusive governance, pluralism, and respect for differing views. Banning a major political party sets a dangerous precedent. If this becomes a norm, no political party will be safe from similar authoritarian tactics in the future.
The people of Bangladesh have repeatedly demonstrated their commitment to democracy and fundamental rights. They will not surrender their hard-won freedoms to executive overreach. The current ban not only threatens the nation’s political landscape—it could destabilize its economy, damage international partnerships, and endanger the country’s long-term future.
This is not just a political misstep. It is a defining moment in Bangladesh’s democratic history.
About the Author: Advocate Shahanur Islam is a Bangladeshi human rights lawyer; laureate of the French Government’s Marianne Initiative for Human Rights Defenders 2023; and founding president of JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF). Email:shahanur.islam@jmbf.org; Website:www.jmbf.org
রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, নাকি গণতন্ত্র হত্যার প্রজ্ঞাপন?
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
১২ মে ২০২৫ তারিখে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পরিসরে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকদের যাবতীয় কার্যক্রম নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু বেআইনি ও অসাংবিধানিক নয়, এটি একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তির ওপর গুরুতর আঘাত। বিশেষ করে, এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ও মৌলিক মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে, যা একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল চেতনাকে বিপন্ন করে।
আমরা একে সোজাসাপ্টা বললে বলতে পারি, সরকারের এই পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নির্বিচারে ধ্বংস করার এক কূটকৌশল। বাংলাদেশের জনগণ বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু আজ, যে সরকার জনগণের জন্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা, সেই সরকারই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে—যা গণতন্ত্রের প্রতি এক গুরুতর হুমকি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রথম ও প্রধান সমস্যা এর বৈধতা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং, সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা আইনের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একটি দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ করা, যার সমর্থন দেশের অর্ধেক জনগণের রয়েছে, তা জনগণকে অবজ্ঞা করার শামিল। আওয়ামী লীগসহ যেকোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে জনগণের মতামত ও আইনি প্রক্রিয়া অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত ছিল, যা এখানে পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে।
এটি স্পষ্ট যে, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যেখানে জনগণের মতামত বা স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যে আইনি বা সাংবিধানিক ভিত্তি দেখানো হয়েছে, তা একেবারেই অস্বচ্ছ ও অযৌক্তিক। তাই একটাই প্রশ্ন উঠছে—কোন আইনের অধিকারী হয়ে একটি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো? এর ফলে বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পূর্ববর্তী সুপারিশে বলা হয়েছিল, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা উচিত নয়; বরং তাদের রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষিত রাখা উচিত। অথচ বাংলাদেশ সরকার এই আন্তর্জাতিক সুপারিশের বিপরীত পথে হাঁটছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার একটি স্বচ্ছ ও বৈধ প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক, যা এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। জাতিসংঘের সহায়তায় যদি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি ঘটে থাকে, তবে এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের মৌলিক দিকনির্দেশনা লঙ্ঘনের শামিল। এর ফলে দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অনিবার্য।
মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ অনুসারে, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্বাভাবিকতা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। জাতিসংঘ কখনোই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়, অথচ বাংলাদেশ সরকার তা উপেক্ষা করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এবং সরকারের প্রতি আস্থার ঘাটতি তৈরি হবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের আলোকে প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে সরকার শুধু আওয়ামী লীগকে দায়ী করে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে পারে? শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, তবে তা আদালত বিচার করবে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দোষীকে শাস্তি দেবে। কিন্তু সরকার একতরফাভাবে পুরো একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও বিস্ময়কর যে, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ৫-১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ড—যেমন থানায় হামলা, সরকারি অফিস ও আদালত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পুলিশের সদস্যদের হত্যা—এসব ঘটনার তদন্ত বা বিচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্নাইপার রাইফেল দিয়ে চালানো হত্যাকাণ্ডের পেছনে কে ছিল, তা এখনো অজানা। সরকারের এই ব্যর্থতা ও অসৎ উদ্দেশ্যই পরিস্থিতিকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। সহিংসতার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানো হলেও বাস্তবে সরকারের ভূমিকা ও ব্যর্থতাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
সরকারের এই পদক্ষেপ জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করবে এবং রাজনৈতিক বিভাজন আরও বাড়াবে। অথচ জাতীয় ঐকমত্য, সংলাপ ও সহনশীলতা—যা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৌলিক দায়িত্ব—তা এখানে অনুপস্থিত। বরং সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যস্ত, ফলে দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে, দেশে আবারও রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিতে পারে, যা গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য চরম হুমকি।
একাধিক রাজনৈতিক দলের চ্যালেঞ্জ ও মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে, জনগণের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতেই একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা উচিত। আজ আমরা যা দেখছি তা হলো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার পরিবর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একনায়কতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও অবজ্ঞার নামান্তর।
আজ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও ভবিষ্যতে অন্য দলগুলোকেও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে। একবার এই নজির তৈরি হলে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে।
বাংলাদেশের জনগণ কখনোই তাদের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারকে হরণ করতে দেবে না। এই নিষেধাজ্ঞা কেবল দেশের রাজনীতিই নয়, বরং সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি এবং জাতির ভবিষ্যতের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
লেখক:বাংলাদেশি মানবাধিকার আইনজীবী; লরিয়েট, ফ্রান্স সরকারের ম্যারিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ২০২৩; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ); ইমেইল: shahanur.islam@jmbf.org, ওয়েবসাইট: www.jmbf.org
Interdiction politique ou proclamation de la mort de la démocratie ?
Par l’Avocat Shahanur Islam
Le 12 mai 2025, un décret exécutif controversé du gouvernement intérimaire du Bangladesh — dirigé par le lauréat du prix Nobel de la paix, le Dr Muhammad Yunus — a déclenché une véritable tempête politique. Ce décret interdit toute activité politique du Bangladesh Awami League ainsi que de ses organes affiliés, y compris ses dirigeants, militants et partisans. Une telle mesure radicale est non seulement illégale et anticonstitutionnelle, mais constitue également une attaque directe contre les fondements mêmes d’une société démocratique. Elle porte atteinte aux droits politiques et aux libertés fondamentales de millions de citoyens, sapant ainsi l’esprit même de la gouvernance démocratique.
En termes simples, cette décision semble être une tentative délibérée de démanteler le processus démocratique. Le peuple bangladais a lutté longuement et durement pour établir la démocratie. L’indépendance du pays, en 1971, a été obtenue au prix d’immenses sacrifices. Et pourtant, aujourd’hui, ce gouvernement intérimaire — censé jouer un rôle neutre de transition — interdit un parti politique historique qui a joué un rôle central dans le mouvement de libération du pays. C’est une menace grave pour le tissu démocratique du Bangladesh.
La légalité de cette interdiction est profondément discutable. À ce jour, aucun tribunal n’a condamné Sheikh Hasina ou l’Awami League. Exclure un grand parti politique jouissant d’un large soutien populaire, sans jugement préalable, est donc à la fois juridiquement infondé et moralement injustifiable. Un parti représentant près de la moitié de la population ne peut être écarté par simple décret, sans consultation publique ni contrôle judiciaire.
Il est évident que cette interdiction est motivée par des considérations politiques plutôt que juridiques. Les justifications fournies par le gouvernement manquent de transparence et de cohérence. Une question fondamentale se pose : en vertu de quelle autorité légale cette interdiction a-t-elle été imposée ? Si de telles décisions ne sont pas contestées, elles risquent d’éroder la confiance du public dans la justice et l’État de droit.
Cette décision va également à l’encontre des recommandations du Conseil des droits de l’homme des Nations Unies, qui déconseille fermement l’interdiction des partis politiques et préconise au contraire la protection de la participation politique comme un droit fondamental. Dans tout système démocratique — en particulier lorsqu’il est placé sous observation internationale — une telle mesure extrême devrait être prise dans le cadre d’un processus légal et inclusif. Ce processus, en l’occurrence, est manifestement absent.
En ignorant ces normes internationales, le gouvernement bangladais met en péril sa réputation mondiale et sa crédibilité diplomatique. Une telle mesure risque d’entraîner de vives critiques internationales et pourrait nuire aux relations extérieures et à l’aide au développement du pays.
Les justifications du gouvernement apparaissent encore plus faibles à la lumière des événements récents. Il évoque des violences présumées entre le 5 et le 15 août — notamment des attaques contre des postes de police, des incendies criminels, des pillages et des assassinats ciblés. Pourtant, aucune enquête transparente n’a été menée et aucun responsable n’a été jugé. Même les attaques les plus médiatisées, comme celles impliquant des tireurs d’élite, restent sans réponse. Ce manque de responsabilité soulève de sérieuses questions sur les véritables intentions du gouvernement.
Au lieu d’un processus de justice impartiale, on assiste à une stratégie inquiétante : le gouvernement cible sélectivement un seul parti politique tout en évitant de rendre compte de ses propres échecs. Cette instrumentalisation partisane fragilise davantage les institutions démocratiques.
Cette décision ne fera qu’approfondir la polarisation politique et les divisions nationales. Le rôle d’un gouvernement intérimaire devrait être de favoriser le dialogue, l’unité et l’intégrité électorale — et non de réprimer les voix de l’opposition. En exacerbant la répression plutôt qu’en promouvant la réconciliation, le gouvernement risque de plonger à nouveau le pays dans une crise politique.
Le parcours démocratique du Bangladesh exige une gouvernance inclusive, le pluralisme et le respect des opinions divergentes. Interdire un grand parti politique constitue un précédent dangereux. Si cette pratique devient courante, aucun parti ne sera à l’abri de dérives autoritaires similaires à l’avenir.
Le peuple bangladais a démontré à maintes reprises son attachement à la démocratie et aux droits fondamentaux. Il ne renoncera pas à ses libertés chèrement acquises face aux abus de pouvoir exécutif. Cette interdiction ne menace pas seulement le paysage politique du pays — elle pourrait aussi déstabiliser son économie, compromettre ses partenariats internationaux et mettre en danger son avenir à long terme.
Ce n’est pas simplement une erreur politique. C’est un moment décisif dans l’histoire démocratique du Bangladesh.
No comments:
Post a Comment