Paris, May 18, 2025: France-based human rights organization Justicemakers Bangladesh in France (JMBF) has celebrated the International Day Against Homophobia, Transphobia, and Biphobia (IDAHOT) 2025. On May 17, the organization issued a press release and marked the occasion by publishing the “Annual LGBTQI+ Rights Report in Bangladesh – 2024.” As part of the celebration, the organization also organized an international conference titled "Lawyers’ Commitment to Protect LGBTQI+ Rights" on May 13 at the French National Bar Council Conference Room.
In its published report, JMBF stated that violence and discrimination against LGBTQI+ people in Bangladesh have increased alarmingly under the current interim government.
According to the report, in 2024, at least 396 LGBTQI+ individuals in Bangladesh were subjected to violence in 70 incidents. These included murder, physical assault, suicide, police harassment, arrest, job dismissal, home invasions, and various forms of persecution.
JMBF founder and Bangladeshi human rights lawyer Advocate Shahanoor Islam Saikat said, “Although the current interim government led by Professor Muhammad Yunus came to power with promises of inclusion and human rights, continuous violence and social exclusion against sexual minorities in Bangladesh are growing at an alarming rate. If the state fails to protect the fundamental rights of its citizens, it poses a threat to democracy.”
JMBF’s chief advisor and French rights activist Robert Simon said, “This report is not just a document—it is a strong message calling on the international community to take action in protecting the human rights of sexual minorities in Bangladesh.”
JMBF reported that in 2022, 204 individuals were affected in 51 incidents, in 2023, 219 individuals in 56 incidents, and in 2024, 396 individuals in 70 incidents. Among the 2024 cases, five transgender women were murdered, and ten LGBTQI+ individuals died by suicide. Additionally, the homes of 120 hijra community members were attacked and looted, and at least four gay teachers were dismissed solely because of their sexual orientation.
According to the report, the Dhaka division saw the highest number of incidents—31 incidents affecting 238 victims. This was followed by Rangpur (86), Sylhet (34), Chattogram (11), Rajshahi (5), and Mymensingh (7).
The report stated that among the 396 victims, 270 were transgender, 112 were gay, 23 lesbian women, 1 was bisexual, and 1 was intersex person.
The main sources of violence were identified as Islamist extremist groups, law enforcement agencies, influential individuals, and internal conflicts within the hijra community. Extremist groups alone were responsible for 234 victims in 14 incidents.
Out of the 70 incidents, police complaints were filed in only 13 cases, and only 6 cases led to the arrest of 22 perpetrators. The remaining 57 incidents saw no legal redress.
The report includes several recommendations, such as the repeal of Section 377 of the Penal Code, enactment of anti-discrimination laws, training law enforcement agencies, establishing safe shelters and services for victims, and promoting positive LGBTQI+ representation in the media.
JMBF expressed hope that the report will motivate both the government and the international community to take effective steps in protecting the human rights of LGBTQI+ individuals in Bangladesh.
জেএমবিএফ-এর আন্তর্জাতিক হোমোফোবিয়া, ট্রান্সফোবিয়া ও বাইফোবিয়া বিরোধী দিবস ২০২৫ উদযাপন!
প্যারিস, ১৮ মে ২০২৫: ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক হোমোফোবিয়া, ট্রান্সফোবিয়া ও বাইফোবিয়া বিরোধী দিবস (IDAHOT) ২০২৫ উদযাপন করেছে। গতকাল ১৭ মে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংস্থাটি ‘বাংলাদেশের বার্ষিক সমকামী অধিকার প্রতিবেদন ২০২৪’ প্রকাশের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে সংস্থাটি গত ১৩ মে ফ্রেন্স ন্যাশনাল বার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে "সমকামী অধিকার রক্ষায় আইনজীবীদের প্রতিশ্রুতি" শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনেরও আয়োজন করে।
জেএমবিএফ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাংলাদেশে সমকামী ও এলজিবিটিকিউআই+ জনগোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অন্তত ৭০টি ঘটনায় ৩৯৬ জন এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, আত্মহত্যা, পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার, চাকরিচ্যুতি, বসতবাড়ি লুটপাটসহ নানা ধরনের নিপীড়ন।
জেএমবিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেন, “বর্তমান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, বাংলাদেশে যৌন সংখ্যালঘুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন সহিংসতা ও সামাজিক বর্জন গভীর উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। রাষ্ট্র যদি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়, তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”
সংস্থাটির প্রধান উপদেষ্টা ও ফরাসি অধিকারকর্মী রবার্ট সাইমন বলেন, “এই প্রতিবেদন কেবল একটি দলিল নয়, এটি একটি জোরালো বার্তা—যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের যৌন সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছে।”
জেএমবিএফ জানিয়েছে, ২০২২ সালে ৫১টি ঘটনায় ২০৪ জন, ২০২৩ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২১৯ জন এবং ২০২৪ সালে ৭০টি ঘটনায় ৩৯৬ জন সহিংসতার শিকার হন। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ৫ জন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১০ জন এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তাছাড়া, ১২০ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের ব্যক্তির বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট এবং অন্তত ৪ জন সমকামী শিক্ষককে শুধুমাত্র যৌন প্রবৃত্তির কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক সহিংসতা ঘটেছে—৩১টি ঘটনায় ২৩৮ জন ভুক্তভোগী। এরপর রংপুরে ৮৬ জন, সিলেটে ৩৪ জন, চট্টগ্রামে ১১ জন, রাজশাহীতে ৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৯৬ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে ২৭০ জন ট্রান্সজেন্ডার, ১১২ জন গে, ২৩ জন লেসবিয়ান নারী, একজন বাইসেক্সুয়াল এবং একজন ইন্টারসেক্স ব্যক্তি সহিংসতার শিকার হন।
সহিংসতার প্রধান উৎস হিসেবে ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু মৌলবাদী গোষ্ঠীর হাতেই ১৪টি ঘটনায় ২৩৪ জন আক্রান্ত হন।
৭০টি ঘটনার মধ্যে মাত্র ১৩টিতে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং মাত্র ৬টি মামলায় ২২ জন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি ৫৭টি ঘটনায় কেউই আইনি প্রতিকার পাননি।
প্রতিবেদনে দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সহিংসতার শিকারদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও সেবা, এবং গণমাধ্যমে ইতিবাচক উপস্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ রাখা হয়েছে।
জেএমবিএফ আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেদনটি সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের এলজিবিটিকিউআই+ সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
JMBF célèbre la Journée internationale contre l’homophobie, la transphobie et la biphobie 2025 !
Paris, le 18 mai 2025 : L’organisation de défense des droits humains basée en France, Justicemakers Bangladesh in France (JMBF), a célébré la Journée internationale contre l’homophobie, la transphobie et la biphobie (IDAHOT) 2025. Le 17 mai, l’organisation a publié un communiqué de presse à l’occasion duquel elle a présenté le « Rapport annuel sur les droits des personnes LGBTQI+ au Bangladesh – 2024 ». Dans le cadre de cette célébration, elle a également organisé le 13 mai une conférence internationale intitulée « L’engagement des avocats pour la protection des droits LGBTQI+ » dans la salle de conférence du Conseil national des barreaux de France.
Dans son rapport, la JMBF indique que les violences et discriminations à l’encontre des personnes LGBTQI+ ont augmenté de manière alarmante au Bangladesh sous le gouvernement intérimaire actuel.
Selon le rapport, en 2024, au moins 396 personnes LGBTQI+ ont été victimes de violences dans 70 incidents au Bangladesh. Ces actes comprennent des meurtres, des agressions physiques, des suicides, du harcèlement policier, des arrestations, des licenciements, des invasions de domicile et d’autres formes de persécution.
Le fondateur de la JMBF et avocat des droits humains bangladais, Me Shahanoor Islam Saikat, a déclaré : « Bien que le gouvernement intérimaire actuel dirigé par le Professeur Muhammad Yunus soit arrivé au pouvoir en promettant l’inclusion et les droits humains, la violence continue et l’exclusion sociale à l’encontre des minorités sexuelles au Bangladesh augmentent à un rythme profondément inquiétant. Si l’État ne parvient pas à protéger les droits fondamentaux de ses citoyens, cela constitue une menace pour la démocratie. »
Le conseiller principal de la JMBF et militant français des droits humains, Robert Simon, a déclaré : « Ce rapport n’est pas seulement un document — c’est un message fort qui appelle la communauté internationale à agir pour défendre les droits humains des minorités sexuelles au Bangladesh. »
La JMBF indique qu’en 2022, 204 personnes ont été victimes dans 51 incidents, en 2023, 219 personnes dans 56 incidents, et en 2024, 396 personnes dans 70 incidents. Parmi les cas de 2024, cinq femmes transgenres ont été assassinées et dix personnes LGBTQI+ se sont suicidées. En outre, les domiciles de 120 membres de la communauté hijra ont été attaqués et pillés, et au moins quatre enseignants homosexuels ont été licenciés uniquement en raison de leur orientation sexuelle.
Selon le rapport, la division de Dhaka a enregistré le plus grand nombre d’incidents — 31 incidents impliquant 238 victimes. Suivent Rangpur (86), Sylhet (34), Chattogram (11), Rajshahi (5) et Mymensingh (7).
Le rapport précise que sur les 396 victimes, 270 étaient des personnes transgenres, 112 des hommes gays, 23 des femmes lesbiennes, 1 personne bisexuelle et 1 personne intersexe.
Les principales sources de violence identifiées sont les groupes islamistes extrémistes, les forces de l’ordre, des individus influents et des conflits internes au sein de la communauté hijra. À eux seuls, les groupes extrémistes ont causé 234 victimes dans 14 incidents.
Parmi les 70 incidents, des plaintes ont été déposées dans seulement 13 cas, et seuls 6 cas ont conduit à l’arrestation de 22 auteurs. Les 57 autres incidents n’ont donné lieu à aucun recours juridique.
Le rapport formule plusieurs recommandations, notamment l’abrogation de l’article 377 du Code pénal, l’adoption d’une loi contre les discriminations, la formation des forces de l’ordre, la mise en place d’hébergements et de services de soutien sécurisés pour les victimes, ainsi que la promotion d’une représentation positive des LGBTQI+ dans les médias.
La JMBF a exprimé l’espoir que ce rapport incitera le gouvernement ainsi que la communauté internationale à prendre des mesures concrètes pour protéger les droits humains des personnes LGBTQI+ au Bangladesh.
***************************************************************************
JMBF is an independent non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the association law of 1901, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond.
No comments:
Post a Comment