বিবৃতি: জেএমবিএফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়!
প্যারিস, ফ্রান্স | ১২ মে, ২০২৫: ফ্রান্স-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন "জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স" (জেএমবিএফ) প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও সমর্থকদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত একটি বিপজ্জনক এবং অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের সংবিধানে দেওয়া মৌলিক অধিকারগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিধির সাথে সঙ্গতিহীন বলে জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের জন্য সুপরিচিত এবং বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। এই দল এবং এর বিশাল সমর্থক গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুধু অবিচারই নয়, এটি আধিপত্যবাদী শাসকদের দ্বারা রাজনৈতিক বিরোধিতাকারীদের দমন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা নির্মূল করার কৌশল বলে জেএমবিএফ মনে করে।
তাছাড়া জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের সংবিধান বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক সংগঠন এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষা করে—যা সংবিধানের ৩৭, ৩৮, এবং ৩৯ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো দেশের একটি প্রধান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারগুলোর পরিপন্থী এবং এটি নাগরিকদের চিন্তা, মতপ্রকাশ এবং রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার প্রতি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে।
এছাড়াও, জেএমবিএফ মনে করে যে, এই বিস্তৃত দমনপীড়ন কেবল দেশীয় আইনই লঙ্ঘন করছে না, বরং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড—যেসব মানতে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যেমন আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি (আইসিসিপিআর), সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর) এবং মানবাধিকার রক্ষকদের উপর জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র—সরকার লঙ্ঘন করেছে। এ পর্যায়ে যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে আইনকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে বিচারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকতে পারে না।
ফ্রান্সের মানবাধিকার কর্মী ও জেএমবিএফ-এর প্রধান উপদেষ্টা রবার্ট সিমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও সমর্থকদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এটি একটি লজ্জাজনক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ, যা গণতন্ত্রের মূল চেতনার পরিপন্থী। এমন একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা, যা বাংলাদেশের জন্মের জন্য লড়াই করেছে, তা শুধু অবৈধই নয়—এটি স্বাধীনতা ও আত্মনির্ধারণের নীতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলীন হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এবিষয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত।”
মানবাধিকার আইনজীবী এবং জেএমবিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা এমন একটি রাজনৈতিক নিপীড়নের দৃষ্টান্ত, যা ইতিহাসের পাতায় নেতিবাচকভাবে লিখিত থাকবে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের গণতন্ত্র এবং প্রতিটি নাগরিকের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার অধিকারই এখানে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ এবং আইনি উপায়ে প্রতিরোধ করব।”
জেএমবিএফ অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে এবং যেন দলের সদস্য ও সমর্থকেরা তাদের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। জেএমবিএফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে সকল আইনি কার্যক্রম অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায়, স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতার সাথে পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছে।
তাছাড়া, জেএমবিএফ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়, যেন তারা বাংলাদেশে আরও নিপীড়ন শুরুর আগেই এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমান পরিস্থিতি একটি সাংবিধানিক সঙ্কটকে মানবাধিকার সংকটে পরিণত করার ঝুঁকি তৈরি করছে।
জেএমবিএফ-এর এই উদ্যোগ কোনো দলের পক্ষাবলম্বন নয়—এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষার সংগ্রাম। রাজনৈতিক বিরোধিতা কোনো অপরাধ নয়। মতভেদ সন্ত্রাসবাদ নয়। ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র অবশ্যই বিজয়ী হবে।
শুভেচ্ছাসহ-
সংক্ষিপ্ত তথ্য: (জেএমবিএফ-এর বিশ্বস্ত সূত্র এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। ১১ মে, ২০২৫, শনিবার, সরকার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে এমন সময়ে, যখন নতুন গঠিত ছাত্রনেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে, যা অস্থায়ী প্রশাসনের সমর্থনে পরিচালিত হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। জামাত-ই-ইসলামী, হেফাজত-ই-ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনসহ আরও কয়েকটি ইসলামী এবং ডানপন্থী গোষ্ঠীও এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে, যারা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাটি বহাল থাকবে যতদিন না আওয়ামী লীগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (ICT) সম্পন্ন হয়। দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে শত শত বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা চলমান।
আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার ICT আইনের আওতা বাড়িয়ে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকেও বিচারের আওতাভুক্ত করেছে। এর ফলে আওয়ামী লীগকে একটি সম্মিলিত সংগঠন হিসেবে বিচার করার পথ উন্মুক্ত হয়েছে।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এর নেতৃত্ব ছিল অপরিসীম। তবে সমালোচকদের মতে, দলটির শাসনের শেষ কয়েক বছর ছিল ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী, বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবক্ষয়ে ভরা—যা বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
Communiqué de presse et déclaration publique : JMBF condamne fermement l'interdiction du Parti Awami League du Bangladesh et de ses affiliés
Paris, France | 12 mai 2025 : L'organisation de défense des droits humains basée en France, JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), exprime sa plus forte condamnation de la décision du gouvernement intérimaire d'interdire toutes les activités du Parti Awami League du Bangladesh—le plus grand parti politique démocratique du pays—ainsi que de ses organisations affiliées et de ses partisans. Cette décision, prise sous prétexte de sécurité nationale, constitue une mesure dangereuse et inconstitutionnelle qui viole ouvertement les droits fondamentaux garantis par la Constitution du Bangladesh et va à l'encontre des normes internationales en matière de droits humains.JMBF affirme que l'Awami League, avec son leadership historique dans la guerre de libération de 1971, représente un héritage politique indissociable de l'identité de la nation bangladaise. La tentative de criminaliser ce parti et sa vaste base de soutien sous des accusations de terrorisme est non seulement injuste mais profondément déstabilisante. Elle reflète des tactiques utilisées par des régimes autoritaires pour supprimer la dissidence politique et éliminer la concurrence démocratique.
JMBF croit fermement que la Constitution du Bangladesh protège le droit à la liberté d'expression, à l'association politique et à la réunion pacifique—des droits inscrits dans les articles 37, 38 et 39. L'interdiction totale d'un parti politique démocratique de premier plan et de ses organisations affiliées constitue une forme de punition collective, en contradiction directe avec ces droits fondamentaux. Elle établit également un dangereux précédent qui menace la liberté de chaque citoyen de penser, de parler et de s'organiser politiquement.
De plus, JMBF considère que cette répression généralisée viole non seulement la législation nationale mais aussi les obligations internationales contraignantes du Bangladesh en vertu du Pacte international relatif aux droits civils et politiques (PIDCP), de la Déclaration universelle des droits de l'homme (DUDH) et de la Déclaration des Nations Unies sur les défenseurs des droits de l'homme. La communauté internationale ne peut pas rester silencieuse alors qu'un gouvernement, même intérimaire, utilise les outils de la loi pour instrumentaliser la justice contre ses opposants politiques.
Robert Simon, un militant français des droits humains de premier plan et conseiller principal de JMBF, a lancé une forte réprimande, déclarant :« C'est un acte honteux et politiquement motivé qui va à l'encontre de l'âme de la démocratie. Interdire un parti politique historique comme l'Awami League, qui a lutté pour la naissance du Bangladesh, n'est pas seulement illégal, c'est une trahison des principes de liberté et d'autodétermination. La communauté internationale a le devoir de s'exprimer avant que l'espace démocratique au Bangladesh ne disparaisse complètement. »
Advocate Shahanur Islam, Président fondateur de JMBF et avocat des droits humains bangladais, a repris ce sentiment avec une grave inquiétude :« Cette interdiction est un exemple classique de persécution politique. Le régime intérimaire a choisi de se ranger du côté des forces réactionnaires et des criminels de guerre, plutôt que de défendre la Constitution. Ce n'est pas seulement l'Awami League qui est attaquée, c'est l'âme de notre libération, de notre démocratie, et le droit de chaque citoyen de choisir son avenir. Nous résisterons à cette injustice par tous les moyens pacifiques et juridiques à notre disposition. »
JMBF exige l'annulation immédiate et sans condition de l'interdiction de l'Awami League et de ses organisations affiliées. Les droits politiques et civils de ses membres et de ses partisans doivent être pleinement rétablis. Toutes les procédures juridiques contre les dirigeants du parti doivent respecter les principes de procédure régulière et d'impartialité, sous la surveillance d'observateurs internationaux.
JMBF appelle l'Union Européenne, les Nations Unies et les gouvernements démocratiques du monde entier à prendre la parole et à agir avant que le Bangladesh ne sombre davantage dans la répression. La trajectoire actuelle risque de transformer une crise constitutionnelle en une crise humanitaire.
Il ne s'agit pas de partisanerie—il s'agit de la survie de la démocratie, de l'état de droit et de la sacralité des droits humains au Bangladesh. L'opposition politique n'est pas un crime. La dissidence n'est pas du terrorisme. La justice et la démocratie doivent prévaloir.
Merci Beaucoup
Cette interdiction intervient à la suite de manifestations de rue menées par le nouveau Parti des Citoyens Nationaux, dirigé par des étudiants, largement perçu comme soutenu par l'administration intérimaire dirigée par le professeur Muhammad Yunus. Plusieurs groupes islamistes et de droite—connus pour leur opposition historique à l'indépendance du Bangladesh en 1971—y compris Jamaat-e-Islami, Hefazat-e-Islam, Islami Andolon, et d'autres factions d'opposition, ont rejoint les manifestations, exigeant que l'Awami League soit formellement désignée organisation terroriste.
Selon une déclaration du gouvernement, l'interdiction restera en place jusqu'à ce que le procès de l'Awami League devant le Tribunal international des crimes (ICT) soit terminé. Le parti et ses dirigeants sont poursuivis pour leur rôle présumé dans la mort de centaines de manifestants pendant leur mandat.
Dans un changement juridique majeur, le gouvernement a modifié la loi sur l'ICT, élargissant la compétence du tribunal pour poursuivre non seulement des individus, mais aussi des partis politiques et des organisations. Ce changement législatif permet au tribunal de juger l'Awami League en tant qu'entité collective.
Fondé en 1949, l'Awami League a joué un rôle clé dans l'indépendance du Bangladesh en 1971. Cependant, ces derniers mois, l'héritage du parti a été de plus en plus scruté en raison de l'instabilité politique, des manifestations de masse et des violences. L'ancienne Première ministre Sheikh Hasina s'est enfuie en Inde en août 2024 après des affrontements mortels entre manifestants et forces gouvernementales.
Le gouvernement intérimaire, dirigé par le lauréat du prix Nobel de la paix Muhammad Yunus, a pris le contrôle après le départ de Hasina. En octobre 2024, le gouvernement a également interdit l'aile étudiante de l'Awami League, la Bangladesh Chhatra League, en la qualifiant d'organisation terroriste en raison de son implication présumée dans des attaques violentes contre des manifestants.
Lors des élections générales historiques de 1970 dans le Pakistan unifié, l'Awami League a obtenu une majorité écrasante. Lorsque le gouvernement central du Pakistan occidental a refusé de transférer le pouvoir, cela a provoqué des troubles civils massifs et a conduit à la déclaration de l'indépendance du Bangladesh. L'Awami League a dirigé la guerre de libération de 1971, et Sheikh Mujibur Rahman—vénéré comme le « Père de la Nation »—est devenu le premier Premier ministre du pays.
Au fil des décennies, l'Awami League a été au centre de l'évolution politique du Bangladesh, survivant aux coups d'État militaires, aux assassinats et à de féroces rivalités politiques. Depuis son retour au pouvoir en 2009 sous la direction de Sheikh Hasina, la fille de Sheikh Mujibur Rahman, le parti a supervisé une croissance économique soutenue, le développement des infrastructures et la poursuite des criminels de guerre de 1971.
Cependant, les critiques affirment que les dernières années de son pouvoir ont été marquées par un autoritarisme croissant, la suppression des voix d'opposition et l'érosion des institutions démocratiques—ce qui a conduit à la crise politique actuelle.
No comments:
Post a Comment