Saturday, July 5, 2025

Mob Violence, Impunity, and Anarchy — The Brutal Reality of the Yunus Government’s Failure

To read the Bengali and French versions, please scroll down and click ‘More’.
Advocate Shahanur Islam
The people of the country had high hopes for the interim government led by Nobel Peace Prize laureate Muhammad Yunus. With his international reputation, commitment to human rights, and determination to avoid political bias, the nation expected stable, transparent governance. But within just 10 months, those hopes have been shattered, replaced by a terrifying reality marked by mob violence, impunity, and state indifference.

On July 3, in Koraibari village of Bangra Bazar police station in Muradnagar upazila, Comilla, a brutal mob violence incident occurred under the pretext of drug dealing. A mother and her two sons and daughters were mercilessly killed, and another daughter was seriously injured. Yet, no case has been filed, and no arrests have been made. The victim's family’s hope for justice now seems impossible, leaving them with little option but to abandon demands for punishment.

Since August last year, under the interim government led by Muhammad Yunus, mob violence has become a frequent and horrifying reality.

Want to seize someone’s house? Label them an Awami League opponent or assign some other false tag, then unleash mob violence against them. Want to take over a business? Spread violence by branding the owner a political opponent. Want to evict someone from a government or private institution? Use the same dirty tactics and start mob violence. Want to confiscate property? Do the same. Didn’t receive extortion money? Target them. Have a longstanding feud? Politicize it and trigger mob violence.

This is how mob violence runs rampant in the country today. And the government remains indifferent—often, these acts occur with the tacit approval or direct involvement of government-backed groups.

According to reports in various Bangladeshi newspapers, under the interim government led by Muhammad Yunus, from September last year to June this year—just 10 months—174 people have been killed and 281 seriously injured in mob violence incidents. In the six months from January to June 2025 alone, 62 people were killed and 206 seriously injured. In June, 41 mob violence incidents resulted in 10 deaths and 47 serious injuries. These statistics are a shameful indictment of the state of law and order.

Regrettably, the government has failed to take effective action against these crimes. Instead, the government press wing denies these incidents and presents the term “mob” as merely a political narrative of the Awami League, which is utterly condemnable and suggests government complicity.

Government officials must not forget that “mob” is not a political label but a description of unlawful, violent behavior. Wherever violence, disorder, or lawlessness occurs, it is rightly identified as “mob behavior,” regardless of politics. Governments and analysts worldwide use this term in similar contexts.

This government is not only failing but, in many cases, silently enabling violence. The inaction of law enforcement, lack of investigations, failure to arrest criminals, and denial of events as “political propaganda” reveal a deliberate avoidance of responsibility.

The ruling party also propagates a narrative that the Awami League, during its rule, committed numerous extrajudicial killings and fostered impunity, trying to justify those acts and deepen a culture of lawlessness.

The current government attempts to downplay mob violence by labeling it an Awami narrative. However, mob violence is a real, social-political violent phenomenon, not a political label. This government misleads the public by politicizing it to cover its failures.

Even critics of mob violence are branded “Awami League supporters” by the government. They forget that dissent cannot be politically tagged. Criticizing a protest does not make someone a “soft Awami.” This is a clear attempt to suppress political expression.

While people suffer attacks, looting, and killings, the government ignores their plight, dismissing them as “not mobs, but reactions.” This indifference and moral decay during a Nobel laureate’s tenure will be remembered as a disgrace.

The culture of calling lies truth, criminals innocent, and protesters “Awami Collaborator” is dangerously growing.

The government suppresses protests by politically tagging protesters. Criticism of violence is met with accusations of being “collaborators of the Awami League,” and even neutral voices are labeled “soft Awami.” This is an attack on democratic rights. If it continues, freedom of speech will disappear.

The interim government led by Nobel laureate Muhammad Yunus has thus become a dark chapter of impunity, mob violence, and moral decay. Its governance symbolizes a broken state, not justice or the rule of law.

Unless accountability is ensured immediately, the country’s future will plunge into darkness. The sole responsibility lies with the Yunus government, and history will judge it harshly.

About the Author: A human rights lawyer, laureate of the French Government’s Marianne Initiative for Human Rights Defenders 2023, and founder president of JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF). Email: shahanur.islam@jmbf.org; Website: www.jmbf.org

দলবদ্ধ সহিংসতা, বিচারহীনতা ও নৈরাজ্য— ইউনুস সরকারের ব্যর্থতার নির্মম চিত্র

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম 

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল ভিন্নরকম। তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি, মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা থেকে দূরে থাকার দৃঢ় অভিপ্রায়ে দেশের মানুষ বুক বেঁধেছিল একটি স্থির, সুশাসিত এবং স্বচ্ছ শাসন কাঠামোর আশায়। কিন্তু মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই সেই আশার বেলুন ধীরে ধীরে ছিঁড়ে গেছে। বরং দিন দিন এটি পরিণত হয়েছে এক বিভীষিকাময় বাস্তবতায়, যার কেন্দ্রে রয়েছে দলবদ্ধ সহিংসতা (মব ভায়োলেন্স), বিচারহীনতা এবং রাষ্ট্রীয় নির্বিকারতা।

গত ০৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামে মাদক ব্যবসার অজুহাতে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতা বা মব ভায়োলেন্সে এক মা ও তার দুই ছেলে-মেয়ে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, আরেক মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তথাপি, এই নৃশংস ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, অপরাধীর গ্রেপ্তার নেই। ভুক্তভোগী পরিবারের বিচার পাওয়ার আশা আজ নিঃস্বপ্ন, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি ত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দলবদ্ধ সহিংসতা বা মব ভায়োলেন্সে মৃত্যুও হয়ে উঠেছে এক নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়।

কারও বাড়ি দখল করতে হবে? তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বা অন্য কোনো মিথ্যা ট্যাগ দিয়ে দলবদ্ধ সহিংসতা শুরু করে দাও। কারও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দখল করতে হবে? একইভাবে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দাও। কাউকে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদ করতে হবে? তার ওপরও একই কুৎসিত অপবাদ দিয়ে লুটপাটের হানাদারি শুরু করো। কারও সম্পত্তি দখল করতে হবে? একই পদ্ধতি প্রয়োগ করো। কারও কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে পাওনি? তাকে শত্রু বানিয়ে হামলা চালাও। কারও সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা আছে? তাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে দলবদ্ধ সহিংসতার অঙ্গীকার করাও।

এভাবেই আজ দেশে চলছে দলবদ্ধ সহিংসতা বা মবের অবাধ কার্যক্রম। আর সরকার তা দেখে নির্বিকার থেকে যায়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারী আশীর্বাদপুষ্ট গোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট গ্যাংগুলোই এই সহিংসতা সংগঠিত ও পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার তথ্যমতে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এবছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ১০ মাসে দলবদ্ধ সহিংসতায় (মব ভায়োলেন্সে) ১৭৪ জন নিহত এবং ২৮১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে ৬২ জন নিহত এবং ২০৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। জুন মাসে ৪১টি দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান একটি সভ্য রাষ্ট্রের জন্য এক চরম লজ্জাজনক ও অযোগ্য শাসনের প্রতিচ্ছবি।

অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সরকার এসব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সরকারী প্রেস উইং থেকে এসব ঘটনা অস্বীকার করে ‘মব’ শব্দটিকে একটি রাজনৈতিক আওয়ামী ন্যারেটিভ হিসেবে উপস্থাপন করছে, যা একেবারে নিন্দনীয় এবং মব ভায়োলেন্সকে সরকার প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করছে বললে অতিরঞ্জন হবে না।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা ভুলে গেলে চলবে না যে “মব” শব্দটি রাজনৈতিক রঙ নয়, বরং পরিস্থিতি ও আচরণের নিরিখে ব্যবহৃত হয়। সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা বা আইনবহির্ভূত আচরণ যেখানে থাকে, সেটি রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই “মব বিহেভিয়ার” হিসেবে চিহ্নিত হয়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকার ও বিশ্লেষকরা এ শব্দটি ব্যবহার করেন পরিস্থিতির বর্ণনায়।

এই সরকার কেবল ব্যর্থ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার এক নীরব প্রবক্তা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা, তদন্তহীনতা, অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করা এবং প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার স্বীকারোক্তি অস্বীকার ও ‘রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা’ বলা স্পষ্টতই এই সরকারের নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা।

এমনকি সরকার দলবদ্ধ সহিংসতা বা মব ভায়োলেন্সে হত্যা বা আহত করাকে আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে বিপুল সংখ্যক বিনা বিচারে হত্যা করেছে এবং তারা বিচারহীনতাকেই জন্ম দিয়েছে — এমন একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে সেসবকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে চাইছে এবং দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠা করছে।

বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ‘মব ভায়োলেন্সকে হালকা করে দেখানোর জন্য আওয়ামী ন্যারেটিভ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। অথচ ‘মব ভায়োলেন্স’ রাজনৈতিক লেবেল নয়, এটি একটি নির্দিষ্ট সমাজ-রাজনৈতিক সহিংসতার বাস্তব চিত্র। এই সরকার নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে এটিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

এমনকি বর্তমান সরকার দলবদ্ধ সহিংসতা বা মব ভায়োলেন্সের প্রতিবাদকারীকেও “আওয়ামী লীগের দোসর” বলে ট্যাগ দিচ্ছে। অথচ তারা ভুলে গেছে — মতভেদ থাকলেই কাউকে কোনো দলীয় ট্যাগ দেওয়া যায় না। কেউ প্রতিবাদের নির্দিষ্ট অংশের সমালোচনা করলেই সে “সফট আওয়ামী” হয়ে যায় না। এটি রাজনৈতিক মতপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণের একটি সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

একদিকে দেশের জনগণের উপর দলবদ্ধ হামলা, লুটপাট ও হত্যা হচ্ছে; অন্যদিকে সরকার এসবকে ‘মব নয়, প্রতিক্রিয়া মাত্র’ বলেই উপেক্ষা করছে। এই নিস্পৃহতা, অমানবিকতা এবং নৈতিক পতন এমন একজন নোবেল বিজয়ীর শাসনের সময় ঘটছে, যা ইতিহাসে এক ভয়াবহ কলঙ্ক হিসেবেই বিবেচিত হবে।

অসত্যকে সত্য বলার, অপরাধীকে নির্দোষ দেখানোর, প্রতিবাদকারীকে ‘আওয়ামী দোসর’ ট্যাগ দেওয়ার সংস্কৃতি ক্রমশ ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।

বর্তমান সরকার যে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে দমন করছে। কেউ সহিংসতার সমালোচনা করলে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলা হচ্ছে, কেউ নিরপেক্ষ সমালোচনা করলেই ‘সফট আওয়ামী’ তকমা দেওয়া হচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের অন্যতম মৌলিক অধিকারের উপর সরাসরি আঘাত। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কেউ গণতন্ত্রের কথা উচ্চারণ করার সাহসই পাবে না।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারহীনতা, দলবদ্ধ সহিংসতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের এক নিষ্ঠুর অধ্যায়। এই সরকারের শাসন ব্যবস্থা কোন আইনের শাসন বা ন্যায় বিচারের প্রতীক নয়, বরং ভগ্ন রাষ্ট্র কাঠামো ও রাজনৈতিক বিভাজনের মঞ্চ।

যদি অবিলম্বে জবাবদিহি নিশ্চিত না হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এই ব্যর্থতার দায় এককভাবে ইউনুস সরকারের উপর বর্তাবে — এবং ইতিহাস একদিন তার কঠোর বিচার করবে।

লেখক: মানবাধিকার আইনজীবী; লরিয়েট, ফ্রান্স সরকারের ম্যারিয়ান ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ২০২৩; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ); ইমেইল: shahanur.islam@jmbf.org, ওয়েবসাইট: www.jmbf.org


Violence de la foule, impunité et anarchie — La brutale réalité de l’échec du gouvernement Yunus

Par l’Avocat Shahanur Islam

Le peuple du pays avait placé de grands espoirs dans le gouvernement intérimaire dirigé par le lauréat du prix Nobel de la paix Muhammad Yunus. Fort de sa réputation internationale, de son engagement en faveur des droits humains et de sa volonté affichée d’éviter tout parti pris politique, la nation espérait une gouvernance stable et transparente. Mais en seulement dix mois, ces espoirs ont été brisés, remplacés par une réalité terrifiante marquée par la violence de la foule, l’impunité et l’indifférence de l’État.

Le 3 juillet, dans le village de Koraibari relevant du poste de police de Bangra Bazar, dans l’upazila de Muradnagar, à Comilla, une attaque brutale de la foule a eu lieu sous prétexte de trafic de drogue. Une mère, ses deux fils et ses deux filles ont été sauvagement tués, et une autre fille grièvement blessée. Pourtant, aucune plainte n’a été déposée, aucune arrestation effectuée. L’espoir de justice de la famille des victimes semble désormais impossible, les contraignant à abandonner toute demande de sanction.

Depuis août dernier, sous le gouvernement intérimaire dirigé par Muhammad Yunus, la violence de la foule est devenue une réalité fréquente et terrifiante.

Vous voulez saisir la maison de quelqu’un ? Il suffit de le qualifier d’opposant à la Ligue Awami ou d'inventer un autre prétexte, puis de déclencher une attaque de foule. Vous souhaitez prendre le contrôle d’une entreprise ? Diffamez le propriétaire en l’étiquetant comme opposant politique, et lancez la violence. Vous voulez expulser quelqu’un d’un bâtiment public ou privé ? Même méthode. Vous voulez confisquer des biens ? Idem. Vous n’avez pas reçu l’argent d’une extorsion ? Visez-le. Un conflit personnel ? Politisez-le et déclenchez la violence de la foule.

C’est ainsi que la violence de la foule règne aujourd’hui dans le pays. Et le gouvernement reste indifférent — ces actes se produisent souvent avec l’approbation tacite ou l’implication directe de groupes soutenus par l’État.

Selon des rapports publiés dans divers journaux bangladais, sous ce gouvernement intérimaire, entre septembre de l’année dernière et juin de cette année — soit en 10 mois seulement — 174 personnes ont été tuées et 281 gravement blessées lors d’incidents de violence collective. Rien qu’entre janvier et juin 2025, 62 personnes ont été tuées et 206 gravement blessées. En juin, 41 incidents ont causé 10 morts et 47 blessés graves. Ces chiffres constituent une accusation accablante contre l’état de la loi et de l’ordre dans le pays.

Malheureusement, le gouvernement n’a pris aucune mesure efficace contre ces crimes. Pire encore, son service de presse nie leur existence et présente le mot « foule » comme une invention politique de la Ligue Awami, ce qui est profondément condamnable et suggère une complicité de l’État.

Les responsables gouvernementaux ne doivent pas oublier que le terme « foule » n’est pas une étiquette politique, mais une description d’un comportement violent et illégal. Partout où règnent la violence, le désordre et l’illégalité, on parle de comportement de foule — indépendamment des opinions politiques. Les gouvernements et les analystes du monde entier utilisent ce terme dans des contextes similaires.

Ce gouvernement ne fait pas que faillir ; dans de nombreux cas, il favorise silencieusement la violence. L’inaction des forces de l’ordre, l’absence d’enquêtes, le refus d’arrêter les coupables et le déni des faits comme étant de la « propagande politique » révèlent un évitement délibéré des responsabilités.

Le parti au pouvoir diffuse également l’idée que la Ligue Awami, durant son mandat, a commis des exécutions extrajudiciaires et favorisé l’impunité — une tentative de justification qui ne fait que renforcer une culture de la loi du plus fort.

Le gouvernement actuel tente de minimiser la violence collective en la réduisant à une « narrative awamiste ». Pourtant, la violence de la foule est un phénomène social et politique réel, et non une invention partisane. Le gouvernement induit le public en erreur en la politisant pour masquer ses propres échecs.

Même les critiques de cette violence sont étiquetés comme des « partisans de la Ligue Awami ». Or, la dissidence ne peut être réduite à une appartenance politique. Critiquer une protestation ou une injustice ne fait de personne un « soft Awami ». C’est une tentative claire de suppression de la liberté d’expression.

Tandis que les citoyens subissent attaques, pillages et assassinats, le gouvernement ignore leur détresse, qualifiant ces actes de simples « réactions », et non de violence de la foule. Cette indifférence et cette déchéance morale sous la direction d’un prix Nobel de la paix resteront dans l’histoire comme une honte nationale.

La culture consistant à appeler le mensonge vérité, les criminels innocents, et les manifestants « collaborateurs awamis » s’installe dangereusement.

Le gouvernement réprime les manifestations en étiquetant les protestataires politiquement. La critique de la violence est immédiatement taxée de collaboration avec la Ligue Awami, et même les voix neutres sont désignées comme « soft Awami ». Il s’agit d’une attaque directe contre les droits démocratiques. Si cela continue, la liberté d’expression disparaîtra.

Le gouvernement intérimaire dirigé par le lauréat du prix Nobel Muhammad Yunus s’est donc transformé en un chapitre sombre d’impunité, de violence de la foule et de déchéance morale. Sa gouvernance ne reflète plus la justice ni l’état de droit, mais un État brisé.

À moins qu'une responsabilité immédiate ne soit établie, l’avenir du pays plongera dans les ténèbres. La responsabilité entière incombe au gouvernement Yunus, et l’histoire le jugera sévèrement.

À propos de l’auteur : Avocat spécialisé en droits humains ; lauréat de l’Initiative Marianne 2023 pour les défenseurs des droits humains du gouvernement français ; président fondateur de JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF). Email: shahanur.islam@jmbf.org, Site web : www.jmbf.org

*********************************************************************************** Copyright © JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), 2025. All rights reserved. No part of this publication may be reproduced, stored in a retrieval system, or transmitted in any form or by any means, electronic, mechanical, photocopying, recording, or otherwise, without the prior permission of JMBF.  

JMBF is an independent non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the association law of 1901, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond.


*********************************************************************************** স্বত্বাধিকার © জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (JMBF), ২০২৫। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই প্রকাশনার কোনো অংশ JMBF-এর পূর্বানুমতি ছাড়া কোনোভাবে—ইলেকট্রনিক, যান্ত্রিক, ফটোকপি, রেকর্ডিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে—পুনরুৎপাদন, সংরক্ষণ বা প্রেরণ করা যাবে না। 

 JMBF একটি স্বাধীন, অলাভজনক, অরাজনৈতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা ফ্রান্সে Association Law of 1901 অনুযায়ী নিবন্ধিত (নিবন্ধন নম্বর W931027714)। এটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম এবং সমাজকে ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

 *********************************************************************************** Copyright © JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF), 2025. Tous droits réservés. Aucune partie de cette publication ne peut être reproduite, stockée dans un système de récupération, ou transmise sous quelque forme ou par quelque moyen que ce soit—électronique, mécanique, photocopie, enregistrement ou autre—sans l'autorisation préalable de JMBF. 

 JMBF est une organisation indépendante, à but non lucratif et non partisane de défense des droits humains, enregistrée en France sous le numéro W931027714 conformément à la loi de 1901 sur les associations. Elle s'engage à défendre les droits humains, à lutter pour la justice et à autonomiser les communautés au Bangladesh et au-delà.

No comments:

Post a Comment