To read the Bengali and French versions, please scroll down.
Greetings from JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), a France-based independent, non-profit, and non-political human rights organization, established under the framework of the United Nations Human Rights Charter (Bill of Rights).
On the occasion of your visit to Bangladesh from 16 to 18 September 2025, JMBF expresses deep concern over the extremely serious violations and deterioration of law and order, economic conditions, and human rights under the interim government of Bangladesh, currently led by Nobel Peace Laureate Muhammad Yunus.
Following the brutal suppression of the 2024 mass movement and the fall of former Prime Minister Sheikh Hasina’s government, the interim government undertook significant reform processes in the country’s political and administrative systems. However, these reforms have not been effectively implemented. On the contrary, during this period, ordinary citizens have been subjected to severe human rights violations.
Since the assumption of power by the current interim government, the law and order situation has deteriorated drastically. During this period, more than 637 people have been killed through orchestrated mob violence, including 205 leaders and activists of the Awami League and its affiliated organizations.
During this time, false cases have been filed against over 400,000 people, and hundreds of thousands have been arbitrarily arrested, the majority being grassroots leaders, activists, and supporters of the previous government and the Bangladesh Awami League.
Among them, 116 members of parliament, including 14 women, have been illegally detained under politically motivated murder charges. Many were unable to appoint lawyers to represent themselves and were physically assaulted within court premises.
Over the past year, more than 70 people have died due to direct firing, torture, and deliberate medical negligence in custody, most of whom were leaders, activists, and supporters of the Bangladesh Awami League and its affiliated organizations.
Violence against religious and cultural sites has been widespread. 1,494 statues and sculptures have been vandalized, 120 mazars destroyed, 17 churches burned, and 2,442 incidents of violence against religious minorities have been recorded, including murder, rape, arson, and attacks on places of worship.
In the Chittagong Hill Tracts, 103 human rights violations were documented, including the arbitrary arrest of 49 people and the forcible occupation of at least 300 acres of land.
There has been a worrying increase in gender- and sexual orientation-based violence. Over the past year, more than 500 LGBTQI+ individuals have been targeted by extremist religious groups. Many were attacked solely because of their sexual orientation, including killings, wrongful arrests, expulsion from educational institutions, and job termination.
Furthermore, extremist activities have surged in the country’s political and social spheres, and more than 300 convicted extremists and armed suspects have been released on bail, creating major challenges for the protection of human rights.
Freedom of journalists and the media is under serious threat. Over the past year, more than 167 journalists had their accreditation revoked, 266 journalists were implicated in false murder cases, and over 14 journalists were arrested on false charges.
More than 1,000 journalists were dismissed, hundreds had their press club memberships revoked; many media houses were vandalized and forcibly occupied, remaining under threat.
The legal community is also not safe. More than 1,500 lawyers have faced killing, arrest, false cases, or revocation of membership. In bar association elections nationwide, lawyers supported by the Bangladesh Awami League have been forcibly prevented from participating, and defense lawyers have faced obstruction while representing accused clients in court.
Violence and sexual abuse against women and children have increased. Teachers and students in educational institutions are facing threats, violence, and restrictions on educational freedom.
The current government exercises direct control over the Supreme Court and lower courts, depriving victims of justice. Over 50 judges of the Supreme Court and lower courts have been intimidated, forced to resign, dismissed, or compulsorily retired.
During this time, all activities of the Awami League and its affiliated organizations have been banned, undermining the democratic rights of the majority of the Bangladeshi population to participate in political activities.
All of this information clearly indicates that the human rights situation in Bangladesh is in deep crisis and urgent international intervention is needed.
JMBF urgently appeals to the members of the European Parliament’s Subcommittee on Human Rights to give direct attention to these human rights violations, violence, and social injustices during your visit to Bangladesh, and to provide international monitoring and recommendations to ensure accountability of the interim government, administration, and law enforcement agencies.
We call for the protection of journalists, lawyers, teachers, women, children, minorities, and the LGBTQI+ community, and the implementation of measures necessary to uphold their fundamental rights.
Furthermore, urgent steps must be taken to make the interim government’s administration and judicial system transparent, independent, and accountable.
JMBF firmly believes that your visit will serve as a critical step in promoting human rights, the rule of law, democracy, and justice, sending a strong signal to the international community.
JMBF sincerely wishes you a successful visit.
Sincerely,
Advocate Shahanur Islam
Founder President
JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF)
Email: shahanur.islam@jmbf.org
Website: www.jmbf.org
To:
- Mr. Mounir Satouri, MEP (France), Chair of the Subcommittee on Human Rights and Delegation; Email: mounir.satouri@europarl.europa.eu
- Ms. Isabel Wiseler-Lima, MEP (Luxembourg); Email: isabel.wiseler@europarl.europa.eu
- Mr. Arkadiusz Mularczyk, MEP (Poland); Email: arkadiusz.mularczyk@europarl.europa.eu
- Mr. Urmas Paet, MEP (Estonia); Email: urmas.paet@europarl.europa.eu
- Ms. Catarina Vieira, MEP (Netherlands); Email: Catarina.VIEIRA@europarl.europa.eu
জরুরি আহবান: ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে জেএমবিএফ-এর জরুরি আহ্বান
জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ (বিল অব রাইটস)-এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত ফ্রান্স ভিত্তিক স্বাধীন, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)-এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
আগামী ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত আপনাদের বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষিতে জেএমবিএফ বর্তমান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির অত্যন্ত গুরুতর লঙ্ঘন ও অবনতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
২০২৪ সালের গণআন্দোলনের নৃশংস দমন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য সংস্কার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হলেও তার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং এই সময়ে এবং সংস্কার চলাকালে দেশের সাধারণ জনগণ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। এই সরকারের আমলে বছরে ৬৩৭-এর বেশি মানুষকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংগবদ্ধ সহিংসতার মাধ্যমে হত্যা (মোব লিঞ্চিং) করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০৫ জন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী নিহত হয়েছেন।
এসময় ৪ লক্ষাধিক মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষকে স্বেচ্ছাচারীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই বিগত সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থক।
এসময় ১১৬ জন সংসদ সদস্য, যার মধ্যে ১৪ জন মহিলা, বিভিন্ন হত্যা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িত করে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে। অনেকেই আদালতে নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি এবং আদালত চত্বরে শারীরিকভাবে মারপিটের শিকার হয়েছেন।
বিগত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরাসরি গুলি, নির্যাতন এবং কারাগারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চিকিৎসা অবহেলায় ৭০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থক।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানের ওপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা গেছে। ১,৪৯৪টি মূর্তি ও ভাস্কর্য ভাঙচুর, ১২০টি মাজার ধ্বংস, ১৭টি গির্জা আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে এবং ২,৪৪২টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও উপাসনালয়ে আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ১০৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘন, যার মধ্যে ৪৯ জনকে স্বেচ্ছাচারীভাবে গ্রেপ্তার এবং অন্তত ৩০০ একর জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে।
লিঙ্গ ও যৌন পরিচয়ভিত্তিক সহিংসতার ক্ষেত্রেও উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত এক বছরে ৫০০-এরও বেশি LGBTQI+ ব্যক্তি মৌলবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই শুধুমাত্র যৌন পরিচয়ের কারণে হত্যা, মিথ্যা মামলায় আটক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার এবং চাকরি থেকে বিহিস্কারের শিকার হয়েছেন।
এছাড়া দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে উগ্রবাদী কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৩০০-এরও বেশি সাজাপ্রাপ্ত উগ্রবাদী ও সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে জামিন প্রদানের মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক ও মিডিয়ার স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের হুমকি বিরাজ করছে। গত এক বছরে ১৬৭ জনের বেশি সাংবাদিকের স্বীকৃতি বাতিল, ২৬৬ জন সাংবাদিককে মিথ্যা হত্যাকাণ্ড মামলায় জড়ানো হয়েছে এবং ১৪ জনের বেশি সাংবাদিককে মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ১,০০০-এর বেশি সাংবাদিক চাকুরিচ্যুত, শতাধিক সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে; বহু মিডিয়া হাউস ভাঙচুর ও জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে এবং হুমকির মুখে রয়েছে।
আইনজীবী সম্প্রদায়ও নিরাপদ নয়; ১,৫০০ জনের বেশি আইনজীবী হত্যা, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলার শিকার এবং সদস্যপদ বাতিলের শিকার হয়েছেন। সারা দেশের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের অংশগ্রহণে জোরপূর্বক বাধা প্রদানের ঘটনা এবং তাদের অভিযুক্তদের পক্ষে আদালতে প্রতিরক্ষা দেওয়ায় বাধা প্রদান করা হয়েছে।
নারী ও শিশুদের উপর সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হুমকি, সহিংসতা এবং শিক্ষার স্বাধীনতা হরণের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিম্ন আদালত সর্বত্র বর্তমান সরকারের সুস্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান, ফলে ভুক্তভোগীরা সর্বত্র ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ নিম্ন আদালতের ৫০-এর বেশি বিচারককে ভয় দেখিয়ে পদত্যাগ, চাকুরিচ্যুত এবং বর্ধ্যত্বমূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সকল প্রকার কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণতান্ত্রিক অধিকার হ্রাস করা হয়েছে।
এই সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ করছে যে, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীর সংকটে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
জেএমবিএফ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির সদস্যদের বিশেষভাবে আহবান জানাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সফরের সময় এইসব মানবাধিকার লঙ্ঘন, সহিংসতা এবং সামাজিক অবিচারের ঘটনায় সরাসরি গুরুত্ব আরোপ করুনএবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রদান করুন।
সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, নারী, শিশু, সংখ্যালঘু এবং LGBTQI+ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষা এবং তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, স্বাধীন ও জবাবদিহি সংবলিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আপনাদের এই সফর মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে কাজ করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সংকেত প্রেরণ করবে।
জেএমবিএফ আন্তরিকভাবে আপনাদের সফরের সফলতা কামনা করছে।
ধন্যবাদান্তে,
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)
ইমেইলঃ shahanur.islam@jmbf.org
ওয়েবসাইটঃ www.jmbf.org
বরাবর,
- মিঃ মৌনির সাতৌরি, এমইপি (ফ্রান্স), মানবাধিকার উপকমিটি ও প্রতিনিধি দলের চেয়ার; ইমেইল: mounir.satouri@europarl.europa.eu
- মিজ ইসাবেল বিশেলার-লিমা, এমইপি (লুক্সেমবার্গ); ইমেইল: isabel.wiseler@europarl.europa.eu
- মিঃ আর্কাদিউস মুলারচিক, এমইপি (পোল্যান্ড); ইমেইল: arkadiusz.mularczyk@europarl.europa.eu
- মিঃ উর্মাস পায়েত, এমইপি (এস্তোনিয়া); ইমেইল: urmas.paet@europarl.europa.eu
- মিজ কাতারিনা ভিয়েরা, এমইপি (নেদারল্যান্ডস); ইমেইল: Catarina.VIEIRA@europarl.europa.eu
APPEL URGENT : Appel du JMBF à l’occasion de la visite de la délégation du Sous-comité des droits de l’homme du Parlement européen au Bangladesh
Salutations de la part de JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF), une organisation indépendante, à but non lucratif et non politique, basée en France, créée dans le cadre de la Charte des droits de l’homme des Nations Unies (Bill of Rights).
À l’occasion de votre visite au Bangladesh du 16 au 18 septembre 2025, le JMBF exprime sa profonde inquiétude face aux violations extrêmement graves et à la détérioration de l’état de droit, des conditions économiques et des droits humains sous le gouvernement intérimaire du Bangladesh, actuellement dirigé par le lauréat du prix Nobel de la paix, Muhammad Yunus.
Suite à la répression brutale du mouvement populaire de 2024 et à la chute de l’ancien gouvernement de la Première ministre Sheikh Hasina, le gouvernement intérimaire a entrepris d’importants processus de réforme dans les systèmes politique et administratif du pays. Cependant, ces réformes n’ont pas été mises en œuvre de manière effective. Au contraire, durant cette période, les citoyens ordinaires ont été soumis à de graves violations des droits humains.
Depuis la prise de pouvoir par le gouvernement intérimaire actuel, la situation de l’ordre public s’est gravement détériorée. Durant cette période, plus de 637 personnes ont été tuées dans des violences de masse orchestrées, dont 205 dirigeants et militants de la Ligue Awami et de ses organisations affiliées.
Durant cette période, plus de 400 000 personnes ont été accusées à tort, et des centaines de milliers ont été arbitrairement arrêtées, la majorité étant des leaders de base, militants et partisans du gouvernement précédent et de la Ligue Awami du Bangladesh.
Parmi eux, 116 membres du parlement, dont 14 femmes, ont été détenus illégalement sous des accusations de meurtres à motivation politique. Beaucoup n’ont pas pu désigner d’avocat pour les représenter et ont été physiquement agressés dans l’enceinte des tribunaux.
Au cours de l’année écoulée, plus de 70 personnes sont décédées des suites de tirs directs, de torture et de négligence médicale délibérée en détention, la majorité étant des dirigeants, militants et partisans de la Ligue Awami et de ses organisations affiliées.
La violence contre les sites religieux et culturels a été généralisée. 1 494 statues et sculptures ont été vandalisées, 120 mazars détruits, 17 églises incendiées, et 2 442 incidents de violence contre des minorités religieuses ont été recensés, incluant meurtres, viols, incendies criminels et attaques contre des lieux de culte.
Dans les Chittagong Hill Tracts, 103 violations des droits humains ont été documentées, dont l’arrestation arbitraire de 49 personnes et l’occupation forcée d’au moins 300 acres de terres.
Une augmentation inquiétante de la violence basée sur le genre et l’orientation sexuelle a été observée. Au cours de l’année écoulée, plus de 500 personnes LGBTQI+ ont été ciblées par des groupes religieux extrémistes. Beaucoup ont été attaquées uniquement en raison de leur orientation sexuelle, incluant meurtres, arrestations injustifiées, expulsion des établissements éducatifs et licenciements.
De plus, les activités extrémistes ont fortement augmenté dans les sphères politiques et sociales du pays, et plus de 300 extrémistes condamnés et suspects armés ont été libérés sous caution, ce qui constitue un obstacle majeur à la protection des droits humains.
La liberté des journalistes et des médias est également gravement menacée. Au cours de l’année écoulée, plus de 167 journalistes ont vu leur accréditation révoquée, 266 journalistes ont été impliqués dans de fausses affaires de meurtre, et plus de 14 journalistes ont été arrêtés sur de fausses accusations.
Plus de 1 000 journalistes ont été licenciés, des centaines ont vu leur adhésion à des clubs de presse révoquée ; de nombreux médias ont été vandalisés et occupés de force, restant sous menace.
La communauté juridique n’est pas non plus en sécurité. Plus de 1 500 avocats ont été tués, arrêtés, inculpés à tort ou ont vu leur adhésion révoquée. Lors des élections des barreaux à l’échelle nationale, les avocats soutenus par la Ligue Awami ont été empêchés de participer de force, et les avocats de la défense ont été entravés dans la représentation de leurs clients devant les tribunaux.
La violence et les abus sexuels contre les femmes et les enfants ont augmenté. Les enseignants et les étudiants sont confrontés à des menaces, à des violences et à des restrictions à la liberté d’enseignement.
Le gouvernement actuel exerce un contrôle direct sur la Cour suprême et les tribunaux inférieurs, privant les victimes de justice. Plus de 50 juges de la Cour suprême et des tribunaux inférieurs ont été intimidés, forcés à démissionner, licenciés ou mis à la retraite de manière contraignante.
Durant cette période, toutes les activités de la Ligue Awami et de ses organisations affiliées ont été interdites, compromettant les droits démocratiques de la majorité de la population bangladaise à participer aux activités politiques.
Toutes ces informations indiquent clairement que la situation des droits humains au Bangladesh est dans une crise profonde et qu’une intervention internationale urgente est nécessaire.
JMBF appelle instamment les membres du Sous-comité des droits de l’homme du Parlement européen à porter une attention directe à ces violations des droits humains, violences et injustices sociales lors de votre visite au Bangladesh, et à fournir un suivi international ainsi que des recommandations pour assurer la responsabilité du gouvernement intérimaire, de l’administration et des forces de l’ordre.
Nous appelons à la protection des journalistes, avocats, enseignants, femmes, enfants, minorités et de la communauté LGBTQI+, et à la mise en œuvre des mesures nécessaires pour garantir leurs droits fondamentaux.
De plus, des mesures urgentes doivent être prises pour rendre l’administration et le système judiciaire du gouvernement intérimaire transparents, indépendants et responsables.
JMBF est fermement convaincu que votre visite constituera une étape cruciale pour la promotion des droits humains, de l’État de droit, de la démocratie et de la justice, envoyant un signal fort à la communauté internationale.
JMBF vous souhaite sincèrement une visite réussie.
Cordialement,
Avocat Shahanur Islam
Président Fondateur
JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF)
Email : shahanur.islam@jmbf.org
Site Web : www.jmbf.org
À :
- M. Mounir Satouri, député européen (France), président de la sous-commission des droits de l’homme et de la délégation ; Email : mounir.satouri@europarl.europa.eu
- Mme Isabel Wiseler-Lima, députée européenne (Luxembourg) ; Email : isabel.wiseler@europarl.europa.eu
- M. Arkadiusz Mularczyk, député européen (Pologne) ; Email : arkadiusz.mularczyk@europarl.europa.eu
- M. Urmas Paet, député européen (Estonie) ; Email : urmas.paet@europarl.europa.eu
- Mme Catarina Vieira, députée européenne (Pays-Bas) ; Email : Catarina.VIEIRA@europarl.europa.eu
*********************************************************************************************************** Copyright © JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), 2025. All rights reserved. No part of this publication may be reproduced, stored in a retrieval system, or transmitted in any form or by any means — electronic, mechanical, photocopying, recording, or otherwise — without mentioning the name of JMBF.
JMBF is an independent, non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the 1901 Association Law, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond.
*********************************************************************************************************** কপিরাইট © জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ), ২০২৫। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।এই প্রকাশনার কোনো অংশ জেএমবিএফ-এর নাম উল্লেখ ব্যতীত—ইলেকট্রনিক, যান্ত্রিক, ফটোকপি, রেকর্ডিং বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে—পুনঃপ্রকাশ, সংরক্ষণ বা পরিবহন করা যাবে না।
জেএমবিএফ একটি স্বাধীন, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা ফ্রান্সে ১৯০১ সালের অ্যাসোসিয়েশন আইনের অধীনে W931027714 নম্বরে নিবন্ধিত। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার সুরক্ষা, ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
*********************************************************************************************************** Droits d’auteur © JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF), 2025. Tous droits réservés. Aucune partie de cette publication ne peut être reproduite, stockée dans un système de récupération, ou transmise sous quelque forme ou par quelque moyen que ce soit — électronique, mécanique, photocopie, enregistrement ou autre — sans mentionner le nom de JMBF.
JMBF est une organisation indépendante à but non lucratif et non partisane, enregistrée en France sous le numéro d’enregistrement W931027714 selon la loi de 1901 sur les associations, dédiée à la défense des droits humains, à la lutte pour la justice, et à l’autonomisation des communautés au Bangladesh et au-delà.
No comments:
Post a Comment