Wednesday, September 3, 2025

BANGLADESH ALERT: JMBF Deeply Concerned and Strongly Condemns the Killing of One Worker and Injuries to Over Fifty by Police-Military Firing at Uttara EPZ, Nilphamari

To read the Bengali and French versions, please scroll down and click ‘More’
Paris, France | 3 September 2025:
The France-based human rights organization JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF) expresses deep concern and strong condemnation over the killing of one worker and injuries to over fifty others by police and military personnel shooting during the worker protest at Uttara Export Processing Zone (EPZ) in Nilphamari on 2 September 2025.

JMBF firmly believes that the shooting of one worker and the wounding of over fifty others during the Uttara EPZ protest represent a severe violation of labor rights and human rights in Bangladesh. Continued use of such repressive measures will not only deny workers their legitimate rights but will also further deteriorate the overall human rights situation in Bangladesh and severely damage the country’s international reputation.

Robert Simon, Chief Advisor of JMBF and prominent French human rights activist, said, “The use of lethal force against workers in Bangladesh is deeply condemnable and contrary to international human rights law. When workers demand their fundamental rights—fair wages and job security—it is the responsibility of the state to protect them, not to repress them. I urge the Government of Bangladesh to conduct an impartial investigation immediately, bring the perpetrators to justice, and ensure proper medical treatment for the injured workers.”

Advocate Shahanur Islam, Founder President of JMBF and prominent human rights lawyer, said,“This killing exposes the alarming crisis of labor and human rights in Bangladesh once again. The shooting of an innocent worker is not only a reflection of law enforcement’s irresponsibility but also a blatant example of state repression. We strongly urge the government to conduct a transparent investigation, ensure justice for the deceased worker’s family, and provide full medical care and compensation to the injured.”

JMBF considers the death of an unarmed worker a direct violation of the right to life, protected under Article 32 of the Constitution of Bangladesh, Article 3 of the UN Universal Declaration of Human Rights, and Article 6 of the International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR).

Furthermore, applying repressive measures against peaceful assemblies violates Article 37 of the Constitution of Bangladesh, Article 20 of the UN Universal Declaration of Human Rights, and Article 21 of the ICCPR.

Withholding wages, sudden layoffs, and factory closures violate international labor standards and the core conventions of the International Labour Organization (ILO). Moreover, the use of lethal weapons against unarmed workers breaches the UN Basic Principles on the Use of Force and Firearms by Law Enforcement Officials.

JMBF’s Appeal:
  1. JMBF calls for an immediate, independent, impartial, and transparent investigation into this killing and strict legal action against those responsible.
  2. Justice must be ensured for the deceased worker’s family, and full medical treatment and adequate compensation must be provided to the injured workers.
  3. The government must guarantee workers’ rights to fair wages, job security, and peaceful organization in accordance with ILO core conventions and global human rights standards.
  4. Law enforcement must be instructed never to use lethal force against peaceful protests again and must always adhere to the principles of necessity and proportionality.
  5. JMBF calls on the international community to closely monitor this incident and ensure that the Government of Bangladesh takes effective steps to protect workers’ rights.
JMBF firmly believes that ignoring workers’ legitimate demands and continuing repressive measures will exacerbate the human rights crisis in Bangladesh and seriously damage the country’s international image.

Thank you,

Advocate Mohammad Alamgir
Secretary General
JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF)
Email: mohammad.alamgir@jmbf.org
Website: www.jmbf.org

Fact in Brief: (Based on reports published in various newspapers and verified information from JMBF’s reliable sources)

One Worker Killed and Over Fifty Injured in Police-Military Shooting During Worker Protest at Uttara EPZ, Nilphamari

On 2 September 2025, at the Uttara Export Processing Zone (EPZ) in Nilphamari district, northern Bangladesh, law enforcement authorities used excessive and lethal force during a worker protest. Habibur Rahman (20/21) was shot dead, and more than fifty workers were injured, many of whom were reportedly shot. This incident has raised national and international concern as a serious violation of the right to life, freedom of peaceful assembly, and labor rights.

The unrest began after Hong Kong-based knitwear factory Evergreen Products (BD) Limited withheld two months’ wages and unlawfully terminated approximately 51 workers without following proper procedures. The workers had been engaging in peaceful protests since 30 August. On 2 September, when management suddenly announced an indefinite closure of the factory and locked the main gate, the situation escalated dramatically. The workers gathered outside the factory and on the Nilphamari–Saidpur highway to demand their due wages and the reinstatement of their dismissed colleagues.

According to eyewitnesses, police, Border Guard Bangladesh (BGB), and military personnel used baton charges, tear gas, and ultimately lethal gunfire to disperse the workers. Habibur Rahman, a worker at ECU International, who was returning home after his night shift, was shot dead during this operation. Eyewitnesses confirmed that Habibur was not participating in the protest; he was targeted while simply on his way home. At least 50 workers were injured and admitted to Nilphamari General Hospital and Rangpur Medical College Hospital. Doctors confirmed that Habibur had gunshot wounds, and most of the injured workers had also been shot.

The victim’s family described this killing as completely unjust and unreasonable. Habibur’s father said, “My son was not part of the protest. He was returning home after his duty. Why was he killed? I demand justice.” The injured workers also claimed that they were peacefully protesting, yet law enforcement authorities opened fire without any provocation.

বাংলাদেশ এলার্ট: নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশ-সেনা বাহিনীর গুলিতে ১ শ্রমিক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় জেএমবিএফ-এর গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন

প্যারিস, ফ্রান্স | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫: ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে।

জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিকের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘনের প্রতীক। এ ধরনের দমননীতি অব্যাহত থাকলে কেবল শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারই নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে ধাবিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জেএমবিএফ-এর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত ফরাসি মানবাধিকারকর্মী রবার্ট সিমন বলেন, “বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলনে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ গভীরভাবে নিন্দনীয় এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। শ্রমিকরা যখন তাদের মৌলিক অধিকার—ন্যায্য মজুরি ও চাকরির নিরাপত্তার দাবি তোলে, তখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের সুরক্ষা দেওয়া, দমন নয়। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং আহত শ্রমিকদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

জেএমবিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের শ্রমিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ সংকটকে আবারও উন্মোচিত করেছে। একজন নির্দোষ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি রাষ্ট্রীয় দমননীতির নগ্ন উদাহরণ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—অবিলম্বে এ ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত, নিহত শ্রমিকের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার, আহতদের পূর্ণ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।”

জেএমবিএফ মনে করে যে, একজন নিরস্ত্র শ্রমিকের মৃত্যু জীবনের অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২, জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ধারা ৩, এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত চুক্তি (ICCPR)-এর ৬ নং অনুচ্ছেদে সুরক্ষিত।

তাছাড়া, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমননীতি প্রয়োগ করা বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭, জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ধারা ২০ এবং উক্ত চুক্তির ২১ নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

একই সঙ্গে, বেতন আটকে রাখা, হঠাৎ ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ করা আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর মৌলিক কনভেনশনের লঙ্ঘন। তদুপরি, নিরস্ত্র শ্রমিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার জাতিসংঘের ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বল ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের মৌলিক নীতি’ লঙ্ঘন করে।

জেএমবিএফ-এর আহ্বান: 
১। জেএমবিএফ অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।

২। নিহত শ্রমিকের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং আহত শ্রমিকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।

৩। জেএমবিএফ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, চাকরির নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণভাবে সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর কোর কনভেনশনসহ বৈশ্বিক মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলার দাবি জানাচ্ছে।

৪। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আর কখনো প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার না করে এবং সর্বদা প্রয়োজনীয়তা ও অনুপাতের নীতি মেনে চলার নির্দেশ প্রাদান করার আহ্বান জানাচ্ছে।

৫। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জেএমবিএফ আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন এ ঘটনার প্রতি নিবিড় নজরদারি চালিয়ে যায় এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।

জেএমবিএফ দৃঢ়ভাবে মনে করে, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে সহিংস দমননীতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ধন্যবাদান্তে,

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর
মহাসচিব
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ)
ইমেল: mohammad.alamgir@jmbf.org
ওয়েবসাইট: www.jmbf.org

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ (বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও জে এম বি এফ-এর নিজস্ব নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী)

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশ-সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

গতকাল ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখে বাংলাদেশের উত্তরের নীলফামারী জেলায় অবস্থিত উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিক আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত ও প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করে। এতে হাবিবুর রহমান (২০/২১) নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন, যাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে। এ ঘটনা জীবনের অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

হংকংভিত্তিক পরচুলা তৈরির কারখানা এভারগ্রিন প্রোডাক্টস (বিডি) লিমিটেড টানা দুই মাসের বেতন প্রদান না করে প্রায় ৫১ জন শ্রমিককে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই চাকরিচ্যুত করায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। শ্রমিকরা ৩০ আগস্ট থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিলেন। গতকাল ০২ সেপ্টেম্বর যখন হঠাৎ করে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তখন পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। শ্রমিকরা তাদের পাওনা দাবি এবং ছাঁটাইকৃত সহকর্মীদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার বাইরে ও নীলফামারী–সৈয়দপুর মহাসড়কে অবস্থান নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং শেষপর্যন্ত প্রাণঘাতী গুলি চালায়। এ সময় ইকু ইন্টারন্যাশনাল কারখানার শ্রমিক হাবিবুর রহমান, যিনি রাতের শিফট শেষে বাড়ি ফিরছিলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন যে হাবিব আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিলেন না; তিনি কেবল কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গুলির শিকার হন। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শ্রমিক আহত হন এবং নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে নিহত হাবিবের শরীরে গুলির ক্ষত ছিল এবং আহত অধিকাংশ শ্রমিকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতের পরিবার এই হত্যাকাণ্ডকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করেছে। হাবিবের বাবা বলেন, “আমার ছেলে আন্দোলনে ছিল না। ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিল। কেন তাকে হত্যা করা হলো? আমি ন্যায়বিচার চাই।” আহত শ্রমিকরাও অভিযোগ করেছেন যে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন, অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা উসকানিতে গুলি চালায়।

ALERTE BANGLADESH : JMBF exprime une profonde inquiétude et condamne fermement le meurtre d’un ouvrier et les blessures de plus de cinquante autres par des tirs de la police et de l’armée à l’EPZ d’Uttara, Nilphamari

Paris, France | 3 septembre 2025 : L’organisation française de défense des droits humains, JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF), exprime sa profonde inquiétude et condamne fermement le meurtre d’un ouvrier et les blessures de plus de cinquante autres par des tirs de la police et de l’armée lors d’une manifestation d’ouvriers à l’Export Processing Zone (EPZ) d’Uttara à Nilphamari, le 2 septembre 2025.

JMBF est fermement convaincu que le tir sur un ouvrier et les blessures de plus de cinquante autres lors de la manifestation à l’EPZ d’Uttara représentent une violation grave des droits des travailleurs et des droits humains au Bangladesh. La poursuite de telles mesures répressives ne privera pas seulement les travailleurs de leurs droits légitimes, mais aggravera également la situation générale des droits humains au Bangladesh et portera gravement atteinte à la réputation internationale du pays.

Robert Simon, conseiller principal de JMBF et éminent défenseur des droits humains français, a déclaré, « L’utilisation de la force létale contre des travailleurs au Bangladesh est profondément condamnable et contraire au droit international des droits de l’homme. Lorsque les travailleurs revendiquent leurs droits fondamentaux — un salaire équitable et la sécurité de l’emploi — il est du devoir de l’État de les protéger, et non de les réprimer. J’exhorte le gouvernement du Bangladesh à mener immédiatement une enquête impartiale, à traduire les responsables en justice et à assurer un traitement médical approprié aux travailleurs blessés. »

L’avocat Shahanur Islam, président fondateur de JMBF et avocat éminent en droits humains, a déclaré, « Ce meurtre révèle une fois de plus la crise alarmante des droits des travailleurs et des droits humains au Bangladesh. Le tir sur un ouvrier innocent n’est pas seulement le reflet de l’irresponsabilité des forces de l’ordre, mais constitue également un exemple flagrant de répression étatique. Nous exhortons fermement le gouvernement à mener une enquête transparente, à garantir justice pour la famille de l’ouvrier décédé et à fournir des soins médicaux complets et une indemnisation aux blessés. »

JMBF considère que la mort d’un travailleur non armé constitue une violation directe du droit à la vie, protégé par l’article 32 de la Constitution du Bangladesh, l’article 3 de la Déclaration universelle des droits de l’homme de l’ONU et l’article 6 du Pacte international relatif aux droits civils et politiques (PIDCP).

En outre, l’application de mesures répressives contre des rassemblements pacifiques viole l’article 37 de la Constitution du Bangladesh, l’article 20 de la Déclaration universelle des droits de l’homme et l’article 21 du PIDCP.

Le non-paiement des salaires, les licenciements soudains et les fermetures d’usines violent les normes internationales du travail et les conventions fondamentales de l’Organisation internationale du travail (OIT). De plus, l’usage d’armes létales contre des travailleurs non armés contrevient aux Principes fondamentaux de l’ONU sur l’usage de la force et des armes à feu par les forces de l’ordre.

Appel de JMBF :
  1. JMBF demande la conduite immédiate d’une enquête indépendante, impartiale et transparente sur ce meurtre et des poursuites strictes contre les responsables.
  2. La justice doit être rendue pour la famille de l’ouvrier décédé et un traitement médical complet ainsi qu’une indemnisation adéquate doivent être fournis aux travailleurs blessés.
  3. Le gouvernement doit garantir aux travailleurs le droit à un salaire équitable, à la sécurité de l’emploi et à la libre organisation pacifique, conformément aux conventions fondamentales de l’OIT et aux normes internationales des droits humains.
  4. Les forces de l’ordre doivent être strictement instruites de ne plus jamais utiliser de force létale contre des manifestations pacifiques et de toujours respecter les principes de nécessité et de proportionnalité.
  5. JMBF appelle la communauté internationale à suivre de près cet incident et à s’assurer que le gouvernement du Bangladesh prenne des mesures efficaces pour protéger les droits des travailleurs.
JMBF est convaincu que l’ignorance des revendications légitimes des travailleurs et la poursuite des mesures répressives aggraveront la crise des droits humains au Bangladesh et porteront gravement atteinte à l’image internationale du pays.

Merci,

Avocat Mohammad Alamgir
Secrétaire général
JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF)
Email : mohammad.alamgir@jmbf.org
Site Web : www.jmbf.org

Faits en bref : (Basé sur des rapports publiés dans divers journaux et des informations vérifiées provenant de sources fiables de JMBF)

Un ouvrier tué et plus de cinquante blessés lors de tirs de la police et de l’armée pendant une manifestation à l’EPZ d’Uttara, Nilphamari

Le 2 septembre 2025, à l’Export Processing Zone (EPZ) d’Uttara, dans le district de Nilphamari, au nord du Bangladesh, les autorités ont utilisé une force excessive et létale lors d’une manifestation d’ouvriers. Habibur Rahman (20/21 ans) a été abattu, et plus de cinquante travailleurs ont été blessés, dont beaucoup par balles. Cet incident a suscité une inquiétude nationale et internationale en tant que violation grave du droit à la vie, de la liberté de réunion pacifique et des droits des travailleurs.

Le conflit a commencé après que l’usine de confection basée à Hong Kong, Evergreen Products (BD) Limited, ait retenu deux mois de salaire et licencié illégalement environ 51 travailleurs sans suivre les procédures appropriées. Les travailleurs manifestaient pacifiquement depuis le 30 août. Le 2 septembre, lorsque la direction a soudainement annoncé la fermeture indéfinie de l’usine et verrouillé la porte principale, la situation a fortement dégénéré. Les travailleurs se sont rassemblés à l’extérieur de l’usine et sur la route Nilphamari–Saidpur pour réclamer leurs salaires dus et la réintégration de leurs collègues licenciés.

Selon des témoins, la police, la Garde-frontière du Bangladesh (BGB) et l’armée ont utilisé des charges de matraques, des gaz lacrymogènes et finalement des tirs létaux pour disperser les travailleurs. Habibur Rahman, un ouvrier d’ECU International, qui rentrait chez lui après son service de nuit, a été abattu lors de cette opération. Les témoins ont confirmé qu’Habibur ne participait pas à la manifestation ; il a été ciblé simplement sur le chemin du retour. Au moins 50 travailleurs ont été blessés et admis à l’hôpital général de Nilphamari et au collège médical de Rangpur. Les médecins ont confirmé que Habibur présentait des blessures par balle et que la plupart des travailleurs blessés avaient également été touchés par balles.

La famille de la victime a décrit ce meurtre comme totalement injuste et déraisonnable. Le père d’Habibur a déclaré : « Mon fils ne faisait pas partie de la manifestation. Il rentrait chez lui après son service. Pourquoi a-t-il été tué ? Je demande justice. » Les travailleurs blessés ont également affirmé qu’ils manifestaient pacifiquement, pourtant les forces de l’ordre ont ouvert le feu sans provocation.

*********************************************************************************************************** Copyright © JusticeMakers Bangladesh in France (JMBF), 2025. All rights reserved. No part of this publication may be reproduced, stored in a retrieval system, or transmitted in any form or by any means — electronic, mechanical, photocopying, recording, or otherwise — without mentioning the name of JMBF. 

JMBF is an independent, non-profit, nonpartisan human rights organization registered in France with registration number W931027714 under the 1901 Association Law, dedicated to defending human rights, fighting for justice, and empowering communities in Bangladesh and beyond. 
*********************************************************************************************************** কপিরাইট © জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ), ২০২৫। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।এই প্রকাশনার কোনো অংশ জেএমবিএফ-এর নাম উল্লেখ ব্যতীত—ইলেকট্রনিক, যান্ত্রিক, ফটোকপি, রেকর্ডিং বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে—পুনঃপ্রকাশ, সংরক্ষণ বা পরিবহন করা যাবে না। 

জেএমবিএফ একটি স্বাধীন, অলাভজনক ও অরাজনৈতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা ফ্রান্সে ১৯০১ সালের অ্যাসোসিয়েশন আইনের অধীনে W931027714 নম্বরে নিবন্ধিত। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার সুরক্ষা, ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
 *********************************************************************************************************** Droits d’auteur © JusticeMakers Bangladesh en France (JMBF), 2025. Tous droits réservés. Aucune partie de cette publication ne peut être reproduite, stockée dans un système de récupération, ou transmise sous quelque forme ou par quelque moyen que ce soit — électronique, mécanique, photocopie, enregistrement ou autre — sans mentionner le nom de JMBF. 

JMBF est une organisation indépendante à but non lucratif et non partisane, enregistrée en France sous le numéro d’enregistrement W931027714 selon la loi de 1901 sur les associations, dédiée à la défense des droits humains, à la lutte pour la justice, et à l’autonomisation des communautés au Bangladesh et au-delà.

No comments:

Post a Comment